শিরোনাম ::
সৈয়দ নূরের আকস্মিক মৃত্যু দলের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি- শাহজাহান চৌধুরী চকরিয়ায় এনসিপির মঞ্চ ভাঙচুর আওয়ামী ফ্যাসিবাদেরই অনুসরণ: ইসলামি আন্দোলন এর পরও আমাকে ‌‘র’ এর এজেন্ট বললে ধরে নিতে হবে আমার তকদিরে আছে চকরিয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে এনসিপির সমাবেশ পন্ডঃ মঞ্চ ভাঙচুর চরম জনবল সংকটে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছেলের বাইক দুর্ঘটনার খবর শুনে স্ট্রোক করে মারা গেলেন মা কক্সবাজারে ট্রেনে ইয়াবা পাচার বেড়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১ কেজি গাঁজাসহ নারী গ্রেপ্তার ‘১৭ লাখ রোহিঙ্গা পশ্চিমবঙ্গের কোথায়? ঠিকানা দিন’—মমতার চ্যালেঞ্জ চকরিয়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে সদ্য নির্মিত দুইটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ০৭:১৫ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

আবরার হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে কুষ্টিয়ায় মানববন্ধন

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫




কুষ্টিয়া, ২৭ মার্চ – বহুল আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ফাঁসি ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের গেটের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিও জানানো হয়।

কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ, জিলা স্কুলের বর্তমান ও সাবেক ছাত্রসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের ফাঁসি ও ৫ জনের যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। দ্রুত রায় কার্যকর করা হোক। দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক। দ্রুত ফাঁসি দেওয়া হোক। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের নির্মম নৃশংস হত্যার ঘটনা না ঘটে।

মানববন্ধনে জিলা স্কুলের বর্তমান ও সাবেক ছাত্ররা বলেন, কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সাবেক ছাত্র ও বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এ রকম স্পর্শকাতর মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি গত বছরের ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যায়। এর প্রায় দীর্ঘ সাত মাস পর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায় কারা কর্তৃপক্ষ। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক একটি ঘটনা।

তারা আরও বলেন, এ ঘটনা নিয়ে জনগণের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ এবং উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রায় সাত মাস পর এ ঘটনার প্রকাশ্যে আসা আরও প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। এতদিন কারা কর্তৃপক্ষ কী করছিল? কেন এত দেরি হলো জানাতে? একজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির এভাবে পালিয়ে যাওয়া কারা ব্যবস্থাপনার গুরুতর ব্যর্থতা এবং বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি চরম অবহেলার ইঙ্গিত দেয়। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোর্শেদজামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ এই তিনজন মামলার শুরু থেকেই পলাতক। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি- দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করুন।



আরো খবর: