নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া:: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলীতে তান্ডব চালিয়ে এক গরীব কৃষকের ৪০ শতক জমির ঢেঁড়শ ক্ষেত গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষেতের মালিক ওই কৃষকের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
শুক্রবার ভোররাতে বরইতলী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের হিন্দুপাড়া টাইম বাজার এলাকায় কৃষক নিরুপম সেনের ফসলের ক্ষেতে ঘটেছে এ ঘটনা।
কৃষক নিরুপম সেন জানান, ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল তারিখে বরইতলী হিন্দুপাড়া এলাকার দীন বন্ধুর পুত্র দুলু কুমার দাশের কাছ থেকে ৪০ শতক জমি ক্রয় করি। সেই জমির বিপরীতে সরকারি খাজনা আদায় ও নামজারি খতিয়ান সৃজন করে চাষাবাদ করে আসছি।
ভূক্তভোগী বলেন, আমি চট্টগ্রামে একটি কোম্পানীতে জীবিকার তাগিতে চাকুরি করি। সেসুবাদে এবছর আমার পরিবার উল্লেখিত জমি স্থানীয় একজন কৃষককে বর্গা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে জমিতে ঢেঁড়শ চাষ করেছে বর্গাচাষী।
কিন্তু আমার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে স্থানীয় কতিপয় কিছু লোক আমার চাষের জমি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাঁরা জমি দখলে নিতে হুমকি ধমকি দিতে শুরু করে। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে গত ২৩ জুলাই কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি এমআর মামলা ( নং ১৬৭/২৫) মামলা দায়ের করি।
ভুক্তভোগী কৃষক নিরুপম সেন অভিযোগ করে বলেন, আদালত মামলা করেছি শুনে বিবাদিরা ক্ষেপে যান। এরই জেরধরে শুক্রবার ভোরে একই এলাকার মৃত নরেশ চন্দ্র দের পুত্র রাম ধন দের নেতেৃত্বে ক্লিনটন দে, দুলু কুমার দাশ, কায়সার উদ্দিন জোসেফ, ইসহাক, সঞ্জয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে কতিপয় ভাড়াটিয়া লোকজন হামলা তান্ডব চালিয়ে জমির ঢেঁডশ ক্ষেত গুড়িয়ে দিয়ে আমার প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করেছে।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে রামধন দে বলেন, নিরুপম সেনের পরিবারের সঙ্গে সাত কড়া জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। তবে ঢেঁড়শ ক্ষেত নষ্ট করার ঘটনায় আমরা জড়িত নেই।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নিরুপম সেন জানিয়েছে, জমির ঢেঁড়শ গুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ঢেঁড়শ ক্ষেত গুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে এজাহার পাওয়া গেলে এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##