এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালী এলাকায় আবদুর রহিম (৬০) নামের এক প্রবাস ফেরত ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল রোববার (২৭ জুলাই) রাত ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ছাইরাখালী এলাকার একটি বাড়ির সামনে উঠানে একজন ব্যক্তির লাশ রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায় । লাশটি দেখার সাথে সাথে চকরিয়া থানার পুলিশকে খবর দেই স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে নিহত লাশটির উদ্ধার করে। তবে নিহত আবদুর রহিমের বাড়ির সবাই পলাতক, কিন্তু বাড়ির উঠানে আবদুর রহিমের নিথর দেহটি পড়ে রয়েছে।
নিহত আবদুর রহিম মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের সাইরডেল এলাকার লাল মিয়া ছেলে। তিনি দীর্ঘ সময় প্রবাসে ছিলেন। কয়েকবছর আগে তিনি পরিবার নিয়ে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ছাইরাখালী এলাকায় জায়গা ক্রয় করে বাডি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন বলেন, ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালী এলাকায় একজন ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করার খবর পাওয়ার সাথে সাথে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে অবিহিত করি।
এরপর ঘটনাস্থলে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) অভিজিৎ রায় ও চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম পুলিশের টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করে। তবে কি জন্য এ ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে তার কারণ এখনো জানা যাইনি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালী এলাকায় এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে শুনে তাৎক্ষণিক আমি ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) অভিজিৎ রায় ঘটনাস্থলে পৌঁছি।
নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মরদেহ থানায় নেওয়া হয়েছে। নিহতের শরীরে ডান বাহুর উপরে এবং ডান কানের নীচে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই ব্যক্তিকে কী কারণে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে তা উদঘাটন করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মরদেহ উদ্ধারের সময় নিহতের পরিবারের সবাই পালাতক রয়েছে।
তিনি বলেন, নিহতের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান পরিচালনা করে হবে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। ##