শিরোনাম ::
‘১৭ লাখ রোহিঙ্গা পশ্চিমবঙ্গের কোথায়? ঠিকানা দিন’—মমতার চ্যালেঞ্জ চকরিয়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে সদ্য নির্মিত দুইটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চকরিয়ায় চাঁদাবাজ চক্রের রোষানলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন কমিশনার নুর হোসেনের পরিবার চকরিয়ায় ভাইয়ের বিয়ের বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি চাপা পড়ে ছোট বোন নিহত রামুর খুনিয়াপালংয়ের যুবদের নাগরিক সাংবাদিকতা বিষয়ক রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ সম্পন্ন রামুর উখিয়ারঘোনা তা’লিমুল কুরআন মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীরা সংবর্ধিত নির্বাচন বানচাল করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে না: সালাহউদ্দিন বসতঘরে মিলল ১ লাখ পিস ইয়াবা, নারী আটক টেকনাফে অস্ত্রের মুখে অটোরিকশা চালক অপহরণ উখিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

চকরিয়ায় চাঁদাবাজ চক্রের রোষানলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন কমিশনার নুর হোসেনের পরিবার

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া ::

মাদক কারবারি চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কতিপয় চাঁদাবাজ চক্র কল্পকাহিনী সাজিয়ে সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই টাকা দিতে আমরা রাজি হয়নি বলে আমার ভাই চকরিয়া পৌরসভার সাবেক কমিশনার নুর হোসেন ও আমি জয়নাল আবেদীনকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আসামি করে হয়রানির পাশাপাশি আমাদের বিরুদ্ধে কল্পকাহিনি সাজিয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র। গতকাল শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকালে চকরিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমন অভিযোগ তুলে ধরে অভিযুক্ত ওই চাঁদাবাজ চক্রের কবল থেকে নিস্তার পেতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চকরিয়া পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি ও ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন।

সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভোগী জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি হিসেবে সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছি। আগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। বৈধভাবে ব্যবসা বাণিজ্য করে সংসার চালায়। একইভাবে আমার বড় ভাই নুর হোসেন চকরিয়া পৌরসভার কমিশনার ছিলেন। কমিশনার হবার আগে পরে এবং বর্তমানে তিনিও বৈধভাবে ব্যবসা বাণিজ্য করে শান্তিপূর্ণ ভাবে এলাকায় বসবাস করছেন। আমরা কোনদিন মাদক ব্যবসা তো দুরের কথা অবৈধ উপায়ে কোনধরনের ব্যবসা বাণিজ্যে জড়িত নেই। এলাকার হাজারো মানুষ জানে, আমরা বৈধ ব্যবসা করে আয় রোজগার করি। জনগণের কল্যানে সেবামূলক কাজে জড়িত আছি।

জয়নাল আবেদীন বলেন, আমাদের পুরানো বাড়ি লাগোয়া চকরিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কোনাপাড়া এলাকায় কতিপয় কিছু মানুষ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আমার ভাই নুর হোসেন কমিশনার হবার আগে পরে এবং এখনো এলাকার কতিপয় খারাপ মানুষের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি, করে আসছি। পক্ষান্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন সময়ে কোনাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারে জড়িতদের গ্রেফতার করে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। প্রশাসনের অভিযান ও মামলার কারণে চিহ্নিত মাদক কারবারি চক্র তাদের অসুবিধার জন্য আমাকে এবং আমার ভাই নুর হোসেন কমিশনারকে
খারাপ চোখে দেখে।
সর্বশেষ গত কয়েকদিন আগে আমাদের প্রতিবেশি
শহিদ ও আনিস গং এর মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় চকরিয়া থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে একপক্ষ। ওই মামলায় কাকতালীয় ভাবে আমি জয়নাল আবেদীন ও আমার বড় ভাই নুর হোসেন কমিশনারকে আসামি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী জয়নাল আবেদীন অভিযোগ করে বলেন, দুইপক্ষের মারামারি ঘটনায় আমরা ছিলাম না। অথচ মামলায় আসামি কেন হলাম কারণ উদঘাটন করতে গিয়ে জানতে পারি মুন্না নামের এক লোক নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে দাপট দেখিয়ে চকরিয়া থানায় মামলার এজাহারে পরিকল্পিত ভাবে আমরা দুই ভাইকে জড়িয়ে দিয়েছে।

মুন্না নামের ওই লোকের বাড়ি নাকি কক্সবাজারের রামু উপজেলায়। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে সে নাকি ইতোপূর্বে কক্সবাজার সদর মডেল থানা ও চকরিয়া থানায় গ্রেফতারও হয়েছিলো। কক্সবাজার আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মাদকের মামলা রয়েছে। মুন্না নাকি এপর্যন্ত সাতটি বিয়ে করেছে। সর্বশেষ চকরিয়ার পালাকাটা এলাকা থেকে নতুন বিয়ে করে এখন কক্সবাজার থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসে চকরিয়া সবুজবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে একটি চাঁদাবাজ চক্র গঠন করে তাদের মাধ্যমে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মানুষকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে বেসুমার চাঁদাবাজি শুরু করেছে।

এরই অংশ হিসেবে আমার এলাকার কতিপয় মাদক কারবারি চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেই মুন্না প্রথমে টার্গেট করে আমার বড় ভাই সাবেক কমিশনার নুর হোসেনকে। কিছুদিন আগে মুন্নার নেতৃত্বে একটি চক্র চকরিয়া পৌরসভার ঘনশ্যাম বাজারে ়আমার ভাইয়ের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানে হাজির হন। আমার ভাইকে এলাকার কতিপয় মাদক কারবারি চক্রের সঙ্গে হাত মিলাতে অনুরোধ করেন। এতে আমার ভাই আপত্তি জানালে পরে মুন্না তাঁর সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে চলে যায়। এর কিছুদিন পর সাংবাদিক নামদারি চাঁদাবাজ চক্রের হোতা মুন্না আমার ভাই নুর হোসেন কমিশনারের মোবাইলে ফোন করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে, বলেন আপনি (নুর হোসেন) অবৈধ মাদক ব্যবসা করেন। আপনার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। এসব বিষয় নিয়ে পত্রিকায় নিউজ করবো। আপনার কোন বক্তব্য থাকলে জানান। সেদিন আমার ভাই নুর হোসেন কমিশনার উত্তরে বলেন, ভাই আমি বৈধভাবে ব্যবসা করি। কোন মাদক কারবারে জড়িত নেই। সুতারং নিউজ করলে সঠিক তথ্য যাছাই করে করবেন, কিন্তু আমি টাকা দিতে পারবো না।

সাংবাদিক সম্মেলনে জয়নাল আবেদীন বলেন, দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে মুন্না নামের ওই লোক দুইদিন আগে আমাকে এবং আমার বড় ভাই নুর হোসেন কমিশনারকে বিভিন্ন অপরাধ অপকর্মে জড়িয়ে মনের মাধুরি মিশিয়ে কল্পকাহিনি সাজিয়ে একটি নিউজ তৈরি করে। ওই নিউজটি আমার ভাই নুর হোসেন কমিশনারের মোবাইলে (হোয়াটসঅ্যাপ) পাঠিয়ে সর্বশেষ সমঝোতার জন্য বলেন। এরপরও আমার ভাই নুর হোসেন কমিশনার এবং আমি তাঁর অন্যায় আব্দারে সাড়া দিইনি। এরই জেরধরে গতকাল শুক্রবার (১৮ জুলাই) ওই চাঁদাবাজ চক্রের তৈরি করা আমার ভাই এবং আমাকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন নিউজটি কক্সবাজারের স্থানীয় পত্রিকা এবং কয়েকটি অনলাইন পোস্টালে ছাপিয়ে দিয়ে আমাদের সম্মানহানির পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে আমাদের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা যদি এধরণের কোন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকি, তাহলে নিরপেক্ষ ও গোপন তদন্তে প্রশাসনের যে কোন শাস্তি মাথা পেতে নেব। যদি না থাকি তাহলে আমরা চকরিয়া উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে সত্য উদঘাটন পুর্বক জড়িত এই চাঁদাবাজ চক্রের কবল থেকে নিস্তার চাই। পাশাপাশি এই চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সাংবাদিক সম্মেলনে জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে তাঁর ছোট ভাই সাজ্জাদ হোসেনসহ পরিবার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আরো খবর: