শিরোনাম ::
ছেলের বাইক দুর্ঘটনার খবর শুনে স্ট্রোক করে মারা গেলেন মা কক্সবাজারে ট্রেনে ইয়াবা পাচার বেড়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১ কেজি গাঁজাসহ নারী গ্রেপ্তার ‘১৭ লাখ রোহিঙ্গা পশ্চিমবঙ্গের কোথায়? ঠিকানা দিন’—মমতার চ্যালেঞ্জ চকরিয়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে সদ্য নির্মিত দুইটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চকরিয়ায় চাঁদাবাজ চক্রের রোষানলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন কমিশনার নুর হোসেনের পরিবার চকরিয়ায় ভাইয়ের বিয়ের বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি চাপা পড়ে ছোট বোন নিহত রামুর খুনিয়াপালংয়ের যুবদের নাগরিক সাংবাদিকতা বিষয়ক রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ সম্পন্ন রামুর উখিয়ারঘোনা তা’লিমুল কুরআন মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীরা সংবর্ধিত নির্বাচন বানচাল করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে না: সালাহউদ্দিন
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

টেকনাফে আবারও দুইজনকে অপহরণ, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫
টেকনাফে তিন রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ, ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া এলাকা থেকে শনিবার রাতে দুইজনকে অপহরণ করেছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করছে ১০ লাখ টাকা।

অপহৃতরা হলেন—টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা এলাকার বাসিন্দা নুর কামাল (৫০) ও রঙ্গিখালী এলাকার বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে বেলাল উদ্দিন (১৮)।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ উল্লাহ জানান, মারিশবনিয়ার তৈয়বা বেগমের বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের অপহরণ করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার (৪ এপ্রিল) নুর কামালের সঙ্গে তৈয়বা বেগমের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের পরদিন রাতেই ৫ জনের একদল পাহাড়ি সন্ত্রাসী তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তারা অস্ত্রের মুখে নুর কামাল ও বেলাল উদ্দিনকে জিম্মি করে বাড়ি থেকে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে এবং পরে তাদের দুজনকে তুলে নিয়ে যায় পাহাড়ের দিকে।

তৈয়বা বেগম বলেন, “সন্ত্রাসীরা জানায়, তারা নুর কামালকে অপহরণ করতে ২০ লাখ টাকার কন্ট্রাক্টে এসেছে। পরে রোববার বিকেলে আমার মোবাইল নম্বরে কল করে জানায়, দুজনের মুক্তিপণের জন্য ১০ লাখ টাকা দিতে হবে, না হলে লাশের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়।”

বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক শুভ রঞ্জন সাহা বলেন, “অপহরণের ঘটনা সম্পর্কে পরিবার থেকে অবগত হয়েছি। তাদের উদ্ধারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।”

কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য মতে, গত ১৫ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ি ও সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অন্তত ২৪৪ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন।


আরো খবর: