শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৮ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫

০৬ মে দৈনিক স্বাধীন সংবাদ নামক পত্রিকায় “দুর্নীতির মহাসাগরে স্কাস চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা- কোটি কোটি টাকা লুটপাটের ভয়াবহ কাহিনী ফাঁস” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও কাল্পনিক তথ্যনির্ভর। সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

চটকদার শিরোনাম দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হলেও সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ না থাকা স্বত্বেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস)-এর নাম, সংস্থার চেয়ারম্যানের ছবি ও ব্যবহার করে সম্মানহানির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে এইটি কোন সংবাদ প্রতিবেদন না কারো ব্যক্তিগত আক্রোশ মুলক কথোপকথন সেটি বুঝা অনেকটাই দুষ্কর।

জেপি ট্যাকনিকাল ট্রেনিং সেন্টার (জেপিটিটিসি) নামে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কতৃপক্ষের প্রয়োজনীয় অনুমোদন সাপেক্ষে কক্সবাজার তরুণ- তরুণীদের জন্য বিনামূল্য দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। একটি ট্রেনিং সেন্টার অনুমোদন প্রদানের পূর্বে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কতৃপক্ষের সচিব সহ বিভিন্ন পদবীধারী কর্মকর্তাগণ সরেজমিনে পরিদর্শন ও অনুসন্ধান শেষে প্রয়োজনীয় অনুমোদন প্রদান করা হয়। জেপিটিটিসি ট্রেনিং সেন্টারের সকল নীতিমালা মেনেই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

ইতিমধ্যে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কতৃপক্ষের মনোনীত এসেসর দ্বারা মূল্যায়নের মাধ্যমে কক্সবাজারের স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন। দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এইসব বেকার তরুণ-তরুণীদের চাকরি প্রদানে সহায়তাও করছে।

এক শ্রেণীর কুপ্রকৃতির লোক কক্সবাজারের স্থানীয় তরুণদের প্রশিক্ষণ বঞ্চিত করতে নানা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা কক্সবাজারের তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তোলে জাতীয় সম্পদের রুপান্তর হোক সেটি চাই না। অতীতের ন্যায় তারা আত্মসাৎ এর মাধ্যমে কক্সবাজার ও তার বিভিন্ন উপজেলা গুলোকে সরকারি নানাবিধ সুবিধা ও প্রকল্প থেকে বঞ্চিত রাখতে ইচ্ছুক। তারই ধারাবাহিক অপপ্রয়াসের অংশ মিথ্যা ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত এই সংবাদ।

এইছাড়াও প্রতিবেদনে উল্লেখিত শিশু শিক্ষা নামক কোন প্রকল্প আমাদের নেই। মনগড়া কথাবার্তার এই প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে বিকৃত ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের বাহক দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকতার মতো মর্যাদাপূর্ণ পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সত্যতা যাচাই ছাড়া কোনো তথ্য প্রকাশ করা উচিত নয়।

পরিশেষে, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক ও দেশের চতুর্থ স্তম্ভ। আমাদের মনে রাখতে হবে, পর্যটন এলাকা-কেন্দ্রিক বেকার তরুণ-তরুণীদের দক্ষ করে মানব সম্পদে রূপান্তর করতে হবে। এই বেকার সমাজ হতাশাগ্রস্ত ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড জড়িয়ে পড়তে পারে।
আমাদের অনুরোধ, এই বিভ্রান্তিকর সংবাদে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হন। আমরা আশা করবো, সাংবাদিক ভাইয়েরা আরও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রচার থেকে বিরত থাকবেন।

প্রতিবাদকারী,
জায়েদ নুর


আরো খবর: