শিরোনাম ::
দুপুরের মধ্যে ৭ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে হাজারো হাঁড়ি-পাতিল, কিন্তু কেন? ইসিতে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিলো বিএনপি, এক বছরে আয় ১৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা স্ত্রীর বিলাসী চাহিদা মেটাতে চাকরি ছেড়ে চোর হলেন বিবিএ পাস যুবক! ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘের সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে ওড়ার আগমুহূর্তে বিমানে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন যাত্রীরা থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়াকে যুদ্ধ বন্ধ করতে আহ্বান জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প কনসার্ট সফরে কানাডা যাচ্ছে ওয়ারফেজ একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি আজ ফিলিস্তিনিদের প্রতি বিশ্বের নীরবতা, তীব্র নিন্দা জাতিসংঘ মহাসচিবের
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:২০ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ফিলিস্তিনিদের প্রতি বিশ্বের নীরবতা, তীব্র নিন্দা জাতিসংঘ মহাসচিবের

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫


নিউ ইয়র্ক, ২৭ জুলাই – জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজা উপত্যকায় ব্যাপক ক্ষুধা ও মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদাসীন মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি এটিকে ‘বিশ্ব বিবেকের জন্য এক নৈতিক সংকট’ বলেও অভিহিত করেন।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বৈশ্বিক সম্মেলনে ভিডিও বার্তায় শুক্রবার গুতেরেস বলেন, ‘আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অন্ধ উদাসীনতা, নিস্ক্রিয়তা এবং সহানুভূতি, সত্য ও মানবিকতার অভাবের ব্যাখ্যা খুঁজে পাই না।’

তিনি বলেন, ‘এটি কেবল একটি মানবিক সংকট নয়। এটি নৈতিক সংকটও, যা বিশ্ব বিবেককে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। প্রতিটি সুযোগে আমরা আমাদের আওয়াজ তুলে ধরব।’

ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মধ্যে মার্চ মাসে গাজায় ত্রাণ অবরোধ জারি করা হয়। দুই মাস পর আংশিকভাবে তা শিথিল করা হলেও গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বিশেষত শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি দ্রুত বেড়ে চলছে বলে সাহায্য সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে।

এর পর থেকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) সীমিত ত্রাণ সহায়তা নিয়ন্ত্রণ করছে। এটি দীর্ঘদিনের জাতিসংঘ-নেতৃত্বাধীন বিতরণ ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনেছে।

এদিকে ত্রাণ সংস্থাগুলো ও জাতিসংঘ জিএইচএফের সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কারণ তারা মনে করে, এ সংস্থাটি ইসরায়েলি সামরিক লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করছে।

গুতেরেস বলেন, ‘২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার বারবার নিন্দা করেছি, কিন্তু সেই ঘটনার পর যে মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ চলছে, তার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

তিনি আরো বলেন, ‘এত ব্যাপক মাত্রার ধ্বংস সাম্প্রতিক সময়ে আর দেখিনি। শিশুরা বলে তারা স্বর্গে যেতে চায়, কারণ সেখানে অন্তত খাবার আছে। আমরা ভিডিও কলে আমাদের মানবিক কর্মীদের দেখি, যারা আমাদের চোখের সামনেই অনাহারে কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু শুধু কথা দিয়ে তো ক্ষুধার্ত শিশুদের পেট ভরানো যায় না।’

গত ২৭ মে থেকে জিএইচএফ কাজ শুরুর পর থেকে খাদ্য সহায়তা পেতে গিয়ে এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার নিন্দা জানান গুতেরেস।

সূত্র: কালের কণ্ঠ
এনএন/ ২৭ জুলাই ২০২৫



আরো খবর: