শিরোনাম ::
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডাচ দূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ, জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে গান উপহার শিখতে নয়, ট্রফি জিততেই অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন সোহানরা পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ১০ আগস্ট সকালে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের ফল প্রকাশ নাটোরে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই ভাই আটক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ-লাওস সমঝোতা স্মারক সই গণ-অভ্যুত্থানকালীন ঘটনায় ১৯টি মামলায় চার্জশিট, ৮টি হত্যা মামলা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই চীন সফরে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী ঐক্যবদ্ধ থাকুন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মুখ দেখাদেখি যেন বন্ধ না হয় আ.লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মেজরের স্ত্রী জাফরিন আটক
August 7, 2025, 2:09 am
নোটিশ::
আমাদের নতুন ডোমেইনে আপনাকে স্বাগতম, কক্সবাজার পোস্ট ডটকমের জনপ্রিয়তাকে পুজিঁ করে অনেক নতুন ফেইসবুক পেইজ খোলা হয়েছে,তাদের কার্যকলাপের জন্য আমরা দায়ী নয়  

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর কখনই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ঘাঁটি হবে না

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, আগস্ট ৬, ২০২৫


ঢাকা, ০৫ আগস্ট – বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর কখনই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ঘাঁটি হবে না, এমনকি কোনো শিক্ষার্থী আর টর্চার সেলে নির্যাতিত হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তরুণ শিক্ষার্থীদের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন আমাদের বাবা-মা ও শিক্ষকরা। আমরা সেই উত্তরসূরি রাষ্ট্র হিসেবে এবার তাদের পাশে দাঁড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমাদের বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানকে বহু কষ্টে বড় করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠায়। কিন্তু লেখাপড়া শেষ করে অনেক ছাত্র অসুস্থ হয়ে বের হয়—হলের নোংরা পরিবেশ, নিম্নমানের খাবার, আর দলীয় সন্ত্রাসীদের দমন-পীড়নের কারণে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের জোর করে রাজনৈতিক প্রোগ্রামে নিয়ে যাওয়া হতো। প্রশাসন ও শিক্ষকরা জানতেন, কিন্তু থামানোর চেষ্টা করেননি। কারণ, শিক্ষকদের বড় একটি অংশ দলীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে প্রমোশন ও সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছিলেন।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে দলীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ আর অমানবিক নির্যাতন চলত। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছিল টর্চার সেল। এসব বন্ধে আমাদের সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা আর কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমন রাজনীতির দ্বারা কলুষিত হতে দেব না, যা পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করে, তরুণদের জীবন ধ্বংস করে। বাবা-মায়েদের যেন সন্তানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পাঠিয়ে আর কখনো শঙ্কায় থাকতে না হয়।”

ধারাবাহিক সংস্কার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি জানান, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির জন্য ধারাবাহিকভাবে পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছে এবং নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।

প্রযুক্তি ও বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান নিয়ে বলেন, “যেসব এলাকায় বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে সেখানে সোলার প্যানেল বসানো হচ্ছে। এছাড়া মোবাইল নেটওয়ার্ক ও স্টারলিংক পরিষেবা ব্যবহার করে এই সংকট মোকাবিলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

ড. ইউনূস আরও বলেন, “স্কুলগুলোতে মেয়েদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্কুল অবকাঠামো নারীবান্ধব করার জন্য নির্মাণ কমিটিতে নারী স্থপতি রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। স্কুল ভবনের ডিজাইন থেকে শুরু করে পড়াশোনার পরিবেশ, চিন্তাভাবনায় মেয়েদের জন্য বিষয়ভিত্তিক গুরুত্ব নিশ্চিত করা হচ্ছে—যাতে তারা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের দিক থেকে স্বস্তিদায়ক পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারে।”

সবশেষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “শিক্ষা শুধু বই মুখস্থ করার বিষয় নয়। এটা একটি জীবনমুখী প্রক্রিয়া। একটি শিক্ষাব্যবস্থা কেমন হবে, তা নির্ধারণ করে একটি জাতির ভবিষ্যৎ। আমরা সেই ভবিষ্যৎ রচনা করতে চাই, যেখানে কোনো সন্তান আর টর্চার সেলে নির্যাতিত হবে না, কোনো শিক্ষক দলীয় দাসত্বে আবদ্ধ থাকবে না, কোনো মা বাবাকে শঙ্কায় থাকতে হবে না।”

সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ০৫ আগস্ট ২০২৫



আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর: