শিরোনাম ::
জুলাইয়ের সত্যকে আমাদের কালেক্টিভ ন্যারেটিভে পরিণত করতে হবে আবু সাঈদ হত্যাসহ তিন মামলায় ১৭ আসামি ট্রাইব্যুনালে গাজায় ত্রাণ সহায়তা আটকে ইসরায়েল ‘স্পষ্টভাবেই’ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে টঙ্গীতে ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে পড়ে নারী নিখোঁজ, উদ্ধারের চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস সন্ধ্যার মধ্যে দেশের ৭ অঞ্চলে বজ্র বৃষ্টিসহ ঝড়ের আভাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর স্বাস্থ্যখাতের টেকসই সংস্কারে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর সমন্বয়ক রিয়াদ ও সঙ্গীরা ‘সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ’, মিশনে পুলিশকে বানাচ্ছিলেন ‘ট্রাম্প কার্ড’ বিশেষ যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৬২ ফিলিস্তিনি ইরানে নতুন করে হামলার পাশাপশি খামেনিকে হত্যার হুমকি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ভারতে বাংলাভাষী মুসলমানদের বাংলাদেশে পুশব্যাক ও নিপীড়ন, প্রতিবাদে সরব ওয়াইসি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫


নয়াদিল্লি, ২৮ জুলাই – কোনোরকম আইনানুগ প্রক্রিয়া ছাড়াই হাজারো বাংলাভাষী মুসলমানকে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে তাড়িয়ে দিচ্ছে ভারত। আটক অবস্থায় তাদের অনেকের ওপর নিপীড়নও চালানো হচ্ছে। অথচ, বাংলাদেশে পুশইন করা এই মুসলমানদের অনেকেই ভারতীয় নাগরিক। গত কয়েক মাস ধরে এমন বিভিন্ন প্রতিবেদন সামনে আসার পর এবার ভারত সরকারকে রীতিমত ধুয়ে দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (মিম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি।

রোববার (২৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাভাষী মুসলমান নাগরিকদের বেআইনিভাবে আটক ও পুশ ব্যাকের ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মিম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেছেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সংখ্যালঘু ও দরিদ্র শ্রেণির উপর পরিকল্পিতভাবে নিপীড়ন চালাচ্ছে।

শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে একাধিক পোস্টে তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, এ সরকার শক্তের কাছে দুর্বল, আর দুর্বলের কাছে শক্ত। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাভাষী মুসলিমদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে বেআইনিভাবে আটক করা হচ্ছে। অথচ এদের অধিকাংশই ভারতীয় নাগরিক।

আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, নির্যাতনের শিকার এই লোকেরা অধিকাংশই নির্মাণকর্মী, সাফাইকর্মী, রাস্তায় আবর্জনা তোলার সঙ্গে যুক্ত। এরা দরিদ্র শ্রেণির মানুষ। এদের অনেকের পক্ষে পুলিশের অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলা বা আইনি লড়াই চালানো সম্ভব নয়। সেই দুর্বলতাকেই ব্যবহার করছে প্রশাসন।

পুলিশের আরও দাবি, এই নারীরা জাল কাগজপত্র ব্যবহার করেই দেশে ঢুকেছিলেন। একটি মানবপাচার চক্রের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল। এ ঘটনায় একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে।

ওয়াইসি অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনার সুযোগ নিয়ে কীভাবে হাজার হাজার বাংলাভাষী মুসলিম নাগরিককে ‘অবৈধ’ বলে চিহ্নিত করা যায়? তার বক্তব্য, ভারত সরকারের এ পদক্ষেপ এক প্রকারের ‘ব্যাকডোর এনআরসি’। তার দাবি, এটি একটি নৈতিক লঙ্ঘন। বন্দুকের মুখে কাউকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া যায় না।

সূত্র: আরটিভি নিউজ
এনএন/ ২৮ জুলাই ২০২৫

 



আরো খবর: