শিরোনাম ::
ছেলের বাইক দুর্ঘটনার খবর শুনে স্ট্রোক করে মারা গেলেন মা কক্সবাজারে ট্রেনে ইয়াবা পাচার বেড়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১ কেজি গাঁজাসহ নারী গ্রেপ্তার ‘১৭ লাখ রোহিঙ্গা পশ্চিমবঙ্গের কোথায়? ঠিকানা দিন’—মমতার চ্যালেঞ্জ চকরিয়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে সদ্য নির্মিত দুইটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চকরিয়ায় চাঁদাবাজ চক্রের রোষানলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন কমিশনার নুর হোসেনের পরিবার চকরিয়ায় ভাইয়ের বিয়ের বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি চাপা পড়ে ছোট বোন নিহত রামুর খুনিয়াপালংয়ের যুবদের নাগরিক সাংবাদিকতা বিষয়ক রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ সম্পন্ন রামুর উখিয়ারঘোনা তা’লিমুল কুরআন মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীরা সংবর্ধিত নির্বাচন বানচাল করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে না: সালাহউদ্দিন
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:১০ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

যাত্রীসেজে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় পাচার হয় ইয়াবা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০২৩

দেশের উত্তরাঞ্চলের দুই জেলা রংপুর ও ঠাকুরগাঁও থেকে আশপাশের এলাকায় ছড়াচ্ছে ইয়াবা। এর সঙ্গে যুক্ত তিনটি চক্রকে শনাক্ত করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। এর মধ্যে একটি চক্রের হোতা ইয়াকুব সম্প্রতি ২৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। অপর দুটি চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রায়হান ও মমিন। এই তিন চক্রের ৩০ জনের বেশি মাদক কারবারে জড়িত।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে আনা ইয়াবার চালান হাতবদল হচ্ছে ঢাকার উপকণ্ঠে। হাতব্যাগের গোপন চেম্বার বা অন্য কোনোভাবে ঢাকা পর্যন্ত এসব চালান আনা হচ্ছে। এখান থেকে উত্তরের গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছেন অন্য মাদক কারবারিরা। গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

ডিএনসির অতিরিক্ত পরিচালক ও ঢাকা বিভাগের প্রধান মজিবুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারি চক্রের সদস্যদের ধরা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা চক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিচ্ছে। এমন অভিযানেই উত্তরাঞ্চলকেন্দ্রিক মাদক কারবারিদের তথ্য জানা গেছে।’ তিনি জানান, মাদক কারবার প্রতিরোধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এর সঙ্গে আরও কোনো চক্র থাকলে তারা দ্রুত ধরা পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ডিএনসির অতিরিক্ত পরিচালক ও রংপুর বিভাগের প্রধান আলী আসলাম হোসেন সমকালকে বলেন, ‘মূলত টেকনাফ-ঢাকা হয়ে ইয়াবা রংপুর অঞ্চলে পৌঁছে। তবে শুধু রংপুর ও ঠাকুরগাঁও নয়; গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, দিনাজপুর থেকেও ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে।’ বাহকদের পাশাপাশি নেপথ্যের হোতাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি ঢাকায় ডিএনসির অভিযানে মাদকের দুটি চালান ধরা পড়ে। এগুলো উত্তরাঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এর মধ্যে গত ১৯ জুলাই গাবতলীর মাজার রোড থেকে আলমগীর হোসেন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার ব্যাগের গোপন চেম্বারে রাখা ছিল ৩ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর বাসিন্দা আলমগীর উত্তরাঞ্চলকেন্দ্রিক ইয়াবা কারবারিদের একজন। টেকনাফ থেকে আসা চালানটি গ্রহণ করে ঠাকুরগাঁও নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল তার। আরেক ব্যক্তি কক্সবাজার থেকে চালানটি ঢাকায় নিয়ে আসে। ডিএনসি কর্মকর্তারা বলছেন, ইয়াকুব, রায়হান ও মমিন উত্তরাঞ্চলের বড় তিনটি মাদকচক্রের হোতা। তাদের লোকজনই ঢাকা থেকে মাদকের চালান রংপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে নিয়ে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে দেয়।

এর আগে গত ১২ জুলাই তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের লাভ রোড থেকে আশীষ কুমার চাকমা নামের এক ব্যক্তি দেড় হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়। কক্সবাজারের উখিয়ার বাসিন্দা আশীষ প্লাস্টিকের হাতব্যাগে চালানটি ঢাকা আনে। উত্তরাঞ্চলের এক মাদক কারবারির কাছে ব্যাগটি হস্তান্তরের কথা ছিল।

ডিএনসির কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তরাঞ্চলের তিন ইয়াবা চক্রের ১১ সদস্য ধরা পড়লেও দুটি চক্রের প্রধান ও তাদের কিছু সহযোগী এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। তারা যাত্রীসেজে বেশির ভাগ সময় বাসে কক্সবাজার থেকে ঢাকা পর্যন্ত ইয়াবা নিয়ে আসে।


আরো খবর: