কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া এলাকায় দোছড়ি খালের ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের উত্তরকুল ও পূর্ব পাড়া কয়েকবছর ধরে নদী ভাঙ্গন দেখা দিলেছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গন তীব্র হয়ে নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে বসত বাড়ি, চলাচলের একমাত্র সড়ক, ফসলী জমিসহ অসংখ্য স্থাপনা। প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বাড়লেই তীরবর্তী মানুষ সময় পার করে আতংকে। নিজেদের বসত বাড়ি হারানোর আশংকায় কাটাতে হয় নির্ঘুম রাত।
চলতি বর্ষা মৌসুমে এসব এলাকায় বাঁকখালী নদীর তীব্র ভাঙ্গনে হুমকীর মুখে পড়েছে এসব গ্রামে কয়েকশ পরিবার। টানা ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বাকখাঁলী নদীতে পানির স্রোত বেড়ে যাওয়ায় নদী ভাঙ্গণের কবলে পড়েছে এসব গ্রামের বেড়িবাঁধ।
স্থানীয় বাসিন্দা জাকের হোছাইন, হামিদ উল্লাহ, আবুল কালাম, জহির আলম জানিয়েছেন- চলতি বর্ষা মৌসুমে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বেড়িবাঁধে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে যে কোন সময় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে শত শত ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসা তলিয়ে যেতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিপুল পরিমান ফসলি জমি।
তারা আরও জানান- ভুক্তভোগীরা উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ভাঙ্গন রোধে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসছে। কিন্তু সবাই আশ্বাস দিলেও নেয়া হয়নি কার্যকর উদ্যোগ। ফলে তীব্র হচ্ছে দোছড়ি খালের ভাঙ্গন। এজন্য জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন রোধ ও বেড়িবাঁধ সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো. ঈসমাইল নোমান জানিয়েছেন- কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের উত্তরকুল, পূর্ব পাড়াসহ একাধিক স্থানে চলতি বর্ষা মৌসুমে খালের ভাঙ্গন তীব্র হয়েছে। অনেক বসতি ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নিয়ে একাধিকবার ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন রোধে ঢাকা থেকে প্রকল্প অনুমোদনের কথা বলেছেন। এখনো কোন কাজ হয়নি। ভবিষ্যতে যেন সকল ভাঙ্গন রোধের উদ্যোগ নেয়া হয়, এজন্য তিনি প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছেন।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সালাহ উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন- ওই এলাকার ভাঙ্গন রোধে ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে কাজের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে অর্থাভাবে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। ভবিষ্যতে প্রকল্প অনুমোদন পেলে কাজ করা হবে