নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার বদরখালী-মহেশখালী সড়কে সিএনজি অটোরিকশা সঙ্গে টমটম (ইজিবাইক) গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে আসমা বেগম (১৭) নামে এক তরুণী নিহত হয়েছেন।
এসময় সিএনজি গাড়িতে থাকা এক নারীসহ আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭জুলাই) রাত সাড়ে নয়টার দিকে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কুতুবনগর পাড়াস্থ সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল বদরীর বাড়িঘাটা এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার এসআই ফরহাদ রাব্বি ঈশান সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত তরুণী আসমা বেগম মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের বারাইয়াকাটা এলাকার মোক্তার আহমদের মেয়ে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন নিহতের ভগ্নিপতি মোহাম্মদ করিম (৪০), ভাইয়ের হবু শশুর মোহাম্মদ হোছাইন (৫৫) ও তার মেয়ে (হবু বধু) আজিজা সোলতানা আঁখি (১৮)।
নিহতের ভাই সাকের উল্লাহ বলেন, বৃহস্পতিবার রাত
নয়টার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের বিপনি বিতান থেকে আমার বড় ভাই আলী আকবরের বিয়ের বাজার করে দুটি সিএনজি অটোরিকশা যোগে পরিবার সদস্যরা মহেশখালীর নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে সিএনজি অটোরিকশা বদরখালী ইউনিয়নের কুতুবনগর পাড়াস্থ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল বদরীর বাড়িঘাটা এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক বদরখালী বাজার থেকে আসা একটি টমটম ইজিবাইক গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় সিএনজিতে থাকা আমার ছোট বোন আসমা বেগম গাড়ি চাপা পড়ে মারা যান। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আমার ভগ্নিপতি আবদুল করিম, বড় ভাইয়ের হবু শশুর মোহাম্মদ হোছাইন ও তার মেয়ে (বড় ভাইয়ের হবু স্ত্রী) আজিজা সোলতানা আঁখি।
তিনি বলেন, আহত তিনজনকে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনজনই মোটামুটি আশঙ্কা মুক্ত আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই
ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়। হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। এব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ##