শিরোনাম ::
বাংলাদেশ আসিয়ানের সদস্যপদ পেতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা এসএসসি পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল ১০ আগস্ট প্রকাশের সম্ভাবনা শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী-সন্তানকে ‘মারধর’ করল পুলিশ, ভিডিও পোস্ট করে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ চাঁদাবাজি-তদবির করতে গেলে ধরে পুলিশে দিন আগামী হজ কার্যক্রমে অংশ নিতে প্রথম পর্যায়ে অনুমতি পেল ১৫৫ এজেন্সি চকরিয়ায় তাণ্ডব চালিয়ে গরীব কৃষকের ঢেঁড়শ ক্ষেত গুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ চকরিয়ায় নিজ বাড়িতে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা উঠান থেকে মরদেহ উদ্ধার পাকিস্তানের লাহোর-ইসলামাবাদ মহাসড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, ৯ বাসযাত্রী নিহত ৮টি আইকনিক মসজিদ নির্মাণে ২৪৪ কোটি টাকা দেবে সৌদি সরকার
সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

এক ব্যক্তি জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী এবং পুলিশ কমিশন গঠনে দলগুলো একমত

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫


ঢাকা, ২৭ জুলাই – এক ব্যক্তি জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকতে পারবেন বলে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। একইসঙ্গে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনেও ঐকমত্যে এসেছেন দলগুলোর নেতারা।

রোববার (২৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে চলমান দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৯তম দিনে কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ এ কথা জানান।

সংলাপে আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলীয় জোটের কাউকে ডাকা হয়নি। বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ ৩০টি রানৈতিক দল সংলাপে অংশ নিয়েছে।

আলী রীয়াজ বলেন, আমরা একটা বিষয়ে একমত হয়েছিলাম কিন্তু সেটা বলা হয়নি। সেটা হলো এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করবেন। সনদে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর উল্লেখ করব। এ বিষয়ে আমরা কি একমত হয়েছি?

এসময় আলী রীয়াজ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সালাহউদ্দিন আহমদ একটি শর্ত দিয়েছিলেন, সেটা কি এখনো আছে?

এ বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, পুলিশ কমিশনের বিষয়ে আমরা একমত। গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা আলোচনা করব। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো আলাপ-আলোচনায় একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে একমত হয়েছে। যা পুলিশের জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করবে।

পুলিশ কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, পুলিশ বাহিনী যেন একটি শৃঙ্খলিত বাহিনী হিসেবে আইনসম্মত ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে, তা নিশ্চিত করা হবে কমিশনের অন্যতম লক্ষ্য। একই সঙ্গে পুলিশ সদস্য ও সাধারণ নাগরিক—উভয়পক্ষের অভিযোগ নিষ্পত্তির দায়িত্বও এই কমিশনের ওপর ন্যস্ত থাকবে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ পুলিশ কমিশন (যা ‘কমিশন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে) গঠিত হবে একজন অবসরপ্রাপ্ত আপিল বিভাগের বিচারপতির নেতৃত্বে, যিনি ৭২ বছরের নিচে হবেন। কমিশনের সদস্য সচিব হবেন অবসরপ্রাপ্ত একজন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল আইজিপি) পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা, যিনি ৬২ বছরের নিচে থাকবেন।

কমিশনে সরকার ও বিরোধী দল উভয়পক্ষের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এদের মধ্যে থাকবেন—সংসদে সরকার দলের নেতা (লিডার অব দ্য হাউস), বিরোধীদলীয় নেতা, জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার (যিনি বিরোধীদল থেকে হবেন) একজন করে প্রতিনিধি। এ ছাড়া একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, যিনি হাইকোর্ট বিভাগে অন্তর্ভুক্ত এবং কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন মানবাধিকার কর্মী, যিনি কমপক্ষে ১০ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা সদস্য হিসেবে থাকবেন।

কমিশনের চেয়ারপারসন ও সদস্য সচিব পূর্ণকালীন দায়িত্ব পালন করবেন, বাকি সাতজন সদস্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে বৈঠকে উপস্থিতি ও অন্যান্য দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী সম্মানী বা ভাতা গ্রহণ করতে পারবেন।

কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্য সচিব ও অন্যান্য সদস্যদের দায়িত্ব, ক্ষমতা, জবাবদিহিতা, পদত্যাগ এবং অপসারণের পদ্ধতি একটি আইন দ্বারা নির্ধারিত হবে। প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, কমিশনের নীতিগত ও নির্বাহী সিদ্ধান্ত গ্রহণে সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে তা অনুমোদিত হবে।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ২৭ জুলাই ২০২৫



আরো খবর: