কক্সবাজারের টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এক সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, দুটি আগ্নেয়াস্ত্র (একটি ওয়ান শুটার ও একটি এলজি) এবং এক রাউন্ড তাজা গুলিসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে। তবে এই ঘটনায় জড়িত আরেকজন পালিয়ে গেছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, চোরাকারবারীদের একটি চক্র প্রতিকূল আবহাওয়ার সুযোগে জেলের ছদ্মবেশে মিয়ানমার থেকে সাগর পথে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচার করে টেকনাফ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় লুকিয়ে রেখে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে।
অপরাধী চক্র এবং স্থানীয় বিক্রেতা জনৈক নূরের মাদক লেনদেনের অংশ হিসেবে একটি অটোরিক্সাযোগে গোপনে অবৈধ অস্ত্রসহ মাদকের একটি চালান খানকার পাড়ার একটি বাড়িতে হস্তান্তরের জন্য পরিবহন করা হচ্ছে। মাদক পরিবহনকালে কারবারিদের হাতে-নাতে আটক করতে বিজিবি’র টহলদলগুলো শহরের বিভিন্ন স্থানে একযোগে অভিযানে নামে।
অপরাধীদের অনুসরণ করতে করতে বিজিবি’র দলগুলো একপর্যায়ে টেকনাফ পৌরসভাস্থ খানকার পাড়া এলাকাটি ঘিরে ফেলে। এসময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় দ নিজ বসতবাড়ি থেকে পালানোর সময় সৈয়দ নূর (৫০) কে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মাদক সরবরাহকারী মো. হারুন রশিদ (৩২) বিজিবি অভিযানদল ঘটনাস্থলে আসার সময় মাদকের একটি প্যাকেট নূরের কাছে হস্তান্তর করে অপর একটি মাদক ভর্তি প্যাকেটসহ দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরে দীর্ঘ তল্লাশি শেষে বাসার পেছনের ঘরের ছাদে বাঁশের চাটাইয়ের উপরে লুকানো স্থান থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২টি মারণাস্ত্র (১টি ওয়ান শুটার ও ১টি এলজি), ১ রাউন্ড তাজা গুলি ও গুলির ১টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত সৈয়দ নূর খানকার পাড়া, টেকনাফের (৯নং ওয়ার্ড) বাসিন্দা। পলাতক মো. হারুন রশিদ (৩২) খানকার ডেইল, টেকনাফের (৯নং ওয়ার্ড) বাসিন্দা।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে উদ্ধারকৃত মাদক, অস্ত্র ও গুলিসহ প্রচলিত আইন অনুযায়ী টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর এবং মামলা রুজু করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান পিএসসি।