শিরোনাম ::
নিউ মার্কেট থেকে অস্ত্র ভাড়া ও ফ্রি হোম ডেলিভারির চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ ঢাকার বায়ুমানে ব্যাপক উন্নতি, বাতাস আজ ভালো ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাশিয়া অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের অন্তত ছয়টি বিমান ধ্বংস, দাবি ভারতের চকরিয়ায় দুইবছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সন্ত্রাসী গিয়াস পুলিশের জালে বাংলাদেশসহ অন্য প্রতিবেশীরা ক্রমেই ভারত থেকে দূরে সরে যাচ্ছে সালাহ উদ্দিন আহমদের সাথে সাক্ষাৎ করলেন চকরিয়ায় ৪ ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইসরায়েলি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে মুসলিম দেশগুলিকে আহ্বান তুরস্কের উপদেষ্টাদের সততা ও সৎ চরিত্রের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করল বিএনপি আজ সকাল ১০টায় এসএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ
August 10, 2025, 10:26 am
নোটিশ::
আমাদের নতুন ডোমেইনে আপনাকে স্বাগতম, কক্সবাজার পোস্ট ডটকমের জনপ্রিয়তাকে পুজিঁ করে অনেক নতুন ফেইসবুক পেইজ খোলা হয়েছে,তাদের কার্যকলাপের জন্য আমরা দায়ী নয়  

জুলাই ঘোষণাপত্রে উপেক্ষিত ‘শাপলা গণহত্যা’, হতাশ হেফাজতে ইসলাম

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ৭, ২০২৫


ঢাকা, ০৭ আগস্ট – প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আনুষ্ঠানিকভাবে পঠিত জুলাই ঘোষণাপত্রে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরের নৃশংস গণহত্যার বিচারের কোনো প্রতিশ্রুতির উল্লেখ না থাকায় হতাশা ও বিস্ময় ব্যক্ত করেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দরা।

বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতিতে হতাশা ও ক্ষোভের কথা বলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, মূলত শাপলা চত্বরের গণপ্রতিরোধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলেম-ওলামা, মাদরাসা শিক্ষার্থী ও তৌহিদি জনতা দলে দলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। অকাতরে রক্ত দিয়েছে; জান দিয়েছে। অথচ জুলাই ঘোষণাপত্রে শাপলা গণহত্যার বিচারের প্রতিশ্রুতি দূরের কথা, কোনো উল্লেখই নেই! ঘোষণাপত্র পাঠকালে হেফাজত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও এমনটি হয়েছে। ফলে এটি যে সচেতনভাবে করা হয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। ওলামায়ে কেরাম ও মাদরাসা শিক্ষার্থীরা এতে বিক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমরা হতাশ ও বিস্মিত! সামনে দিন আরও আছে। এই উপেক্ষার বিষয়টি অবশ্যই আমাদের মনে থাকবে।

তারা আরও বলেন, ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বে দেশের সমগ্র ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদি জনতা শাহবাগী-আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও হিন্দুস্তানি আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ ও গণআন্দোলনের অভূতপূর্ব নজির গড়ে তুলেছিল। ওই বছরের ৫ মে ‘ঢাকা অবরোধ’ কর্মসূচি দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলে হেফাজত। সেদিন মতিঝিল শাপলা চত্বরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাতের আঁধারে নিরীহ-নিরস্ত্র আলেম-ওলামা ও মাদরাসাছাত্রদের ওপর নৃশংস গণহত্যা চালায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার যৌথবাহিনী। তারা বহু লাশ গুম করেছিল। সেই নারকীয় গণহত্যা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল। এছাড়া ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর মোদীর আগমনবিরোধী গণপ্রতিরোধেও শহীদ হন প্রায় দুই ডজন আলেম ও মাদরাসা শিক্ষার্থী।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শাপলার শহীদদের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা আজও সেই ভয়াল কালরাতের ট্রমা থেকে বের হতে পারেননি। তারা ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে ভয় পাচ্ছেন; নিজেদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ এখনো গণহত্যাকারী হাসিনার সাজানো প্রশাসন ও গোয়েন্দা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। অত্যাচারীরা এখনো বহাল। সাক্ষীদের দীর্ঘদিনের মানসিক ভীতি ও ট্রমা কাটাতে এবং তাদের আস্থায় আনতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। তা নাহলে শাপলা গণহত্যার বিচারকাজ আগানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।



আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর: