শিরোনাম ::
দগ্ধ রোগীদের রক্তের সংকট নেই, প্রস্তুত আছেন পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী ‌নাটোরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে ৮ জন নিহতের ঘটনায় ট্রাক চালক আটক ইসরায়েলি পার্লামেন্টে পশ্চিম তীর দখলের প্রতীকী প্রস্তাব অনুমোদন সাহসী শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানালো বিমান বাহিনী ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ বিসিবির প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় যোগ দেয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন মাহমুদউল্লাহ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত, অনাহারে মৃত্যু আরও ১০ জনের ধানমন্ডি থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গ্রেপ্তার মাইলস্টোন কলেজে সীমিত পরিসরে ক্লাস শুরু হচ্ছে ২৭ জুলাই থেকে বাংলাদেশেই হচ্ছে এসিসির মিটিং, যোগ দিচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারীর সঙ্গে অভিযুক্তরা পূর্বপরিচিত: পুলিশ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক::

কক্সবাজারে বেড়াতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারীর সঙ্গে অভিযুক্তদের আগে থেকেই পরিচয় ছিল বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান। এসময় তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই নারী পর্যটক গত দুই মাসে তিনবার কক্সবাজার এসেছেন। ধর্ষণে অভিযুক্তরা তার পূর্বপরিচিত। ওই নারী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সেবা পাননি বলে যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা বলেও দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ সাংবাদিকদের জানান, পর্যটকদের হয়রানি নিয়ে যে সব অভিযোগ আসছে তা সমাধানে আমরা কাজ করছি। নারীকে ধর্ষণের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা এসব বিষয় নিয়ে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।

এ সময় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরা ওই নারীর পূর্বপরিচিত। তাদের মধ্যে কী নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল, অন্য কোনো বিষয় ছিল কিনা তা পুলিশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করছে। তবে ধর্ষণের শিকার হাওয়া নারীর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে আজ। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার যাত্রাবাড়ীর জুরাইন এলাকায় থাকার কথা বললেও ওই দম্পতি তাদের সন্তানসহ তিন মাস ধরে কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেলে থাকছিলেন। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাম ব্যবহার করতেন।’ ওই নারী পুলিশের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

গত বুধবার (২২ ডিসেম্বর) স্বামী-সন্তানকে জিম্মি ও হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে দুইবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। অভিযোগ পেয়ে রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজারের কলাতলীর ‘জিয়া গেস্ট ইন’ নামে একটি হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে র‌্যাব-১৫। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত তিনজনের মধ্যে দুইজনকে শনাক্তও করা হয়েছে।

‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখ ও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলায় নাম উল্লেখ করা চার আসামি হলেন— কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ শফি ওরফে ইসরাফিল হুদা জয় ওরফে জয়া, মেহেদী হাসান বাবু ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।

পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত আশিকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন, ছিনতাই, ইয়াবা ব্যবসাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৬টি মামলা আছে। তার অন্যতম সহযোগী জয়ার বিরুদ্ধেও দুটি মামলা আছে। তারা মূলত কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনের ত্রাস হিসেবে পরিচিত। তাদের গ্যাংয়ে অর্ধশতাধিক সদস্য রয়েছেন। তারা গ্রেপ্তারও হয়েছেন একাধিকবার।


আরো খবর: