শিরোনাম ::
চরম জনবল সংকটে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছেলের বাইক দুর্ঘটনার খবর শুনে স্ট্রোক করে মারা গেলেন মা কক্সবাজারে ট্রেনে ইয়াবা পাচার বেড়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১ কেজি গাঁজাসহ নারী গ্রেপ্তার ‘১৭ লাখ রোহিঙ্গা পশ্চিমবঙ্গের কোথায়? ঠিকানা দিন’—মমতার চ্যালেঞ্জ চকরিয়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে সদ্য নির্মিত দুইটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চকরিয়ায় চাঁদাবাজ চক্রের রোষানলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন কমিশনার নুর হোসেনের পরিবার চকরিয়ায় ভাইয়ের বিয়ের বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি চাপা পড়ে ছোট বোন নিহত রামুর খুনিয়াপালংয়ের যুবদের নাগরিক সাংবাদিকতা বিষয়ক রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ সম্পন্ন রামুর উখিয়ারঘোনা তা’লিমুল কুরআন মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীরা সংবর্ধিত
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

পেকুয়ায় ভেঙ্গে গেছে সড়ক, দূর্ভোগে দু’ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫

নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া (কক্সবাজার)

পেকুয়া উপজেলার ব্যস্ততম সড়ক কাটাফাঁড়ি ব্রিজ টু উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া চৌধুরী জেটিঘাট সড়ক। মগনানা ও উজানটিয়া এ দুই ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ এ গ্রামীন সড়কটি। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে হাজার হাজার মানুষ। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত বোঝাই করা ট্রাকের ভারে ধ্বসে গেছে সড়কটি। মগনামা ধারিয়াখালী রুপাইখালের ঝুঁকিপূর্ণ অংশে সড়কটি ধেবে গিয়ে পানির তোড়ে সম্পূর্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

ফলে যে কোন ধরণের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে মগনামা ও উজানটিয়া ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার জনগন। স্থানীয়রা আশঙ্কা করেছেন, ভাঙ্গা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে লোকালয় তলিয়ে যাবে। নষ্ট হয়ে যাবে বিপুল পরিমান লবণ মাঠ। চরম ক্ষতির সম্মুখিন হবে সেখানকার শতশত লবণ চাষীরা।

জানাগেছে, মগনামা কাটাফাঁড়ি টু উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া চৌধুরী জেটিঘাট সড়কের মগনামার ধারিয়াখালী, রুপাই খাল, সোনালী বাজার স্লুইসগেটসহ চারটি অংশে ধ্বসে গেছে। ধ্বসে যাওয়া অংশের মধ্যে ধারিয়াখালী রুপাইখাল ও সোনালী বাজার স্লুইচগেট অংশ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ দুটি অংশে প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনা লেগেই থাকে। চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে যানবাহনগুলো।

স্থানীয় নুরুল আবছার, আবু তৈয়ব বলেন, সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর রুপাইখালের অংশে সড়কটি ধেবে যায়। বেশ কয়েকবার মাটি, কংকর দিয়ে ভাঙ্গা অংশ সংস্কার করা হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে ভেঙে গিয়ে সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যার ফলে নিদারুন কষ্টে পড়ে দু ইউনিয়নের মানুষ। দুপুরে ট্রাকের ভারে সড়কটি ফের ধেবে গিয়ে সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

তাঁরা আরও বলেন, সড়ক বিচ্ছিন্ন হওয়ায় জোয়ারের পানিতে ধারিয়া খালী, দরদরি ঘোনা, কুমপাড়া, মগঘোনার লবণ মাঠ ও বসতবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সড়কের দ্রুত সংস্কার চাই।
মগনামা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান বদিউল আলম বলেন, সড়ক ধেবে যাওয়ায় দুই ইউনিয়নের মানুষের চলাচল থমকে গেছে। বিশেষ করে উজানটিয়ার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ সড়কটি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পেকুয়ার প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কালভার্ট স্থাপনের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আপাতত পানি আটকানোর কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য মগনামা ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ভাঙ্গন অংশ দ্রুত সংষ্কার করার জন্য এলজিইডি প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশাকরি দ্রুত মাটি ভরাটের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা হবে।

####


আরো খবর: