কলকাতা, ২৪ জুলাই – ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে একেবারে প্রান্তিক স্তরে জনসংযোগ বাড়াতে এবং আরও বেশি করে নাগরিক পরিষেবা প্রদান করার উদ্দেশে এর মধ্যেই নতুন সরকারি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার নবান্নে বসে তিনি ‘আমার পাড়া, আমার সমাধান’ নামে একটি প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন। বুথ স্তরে কাজ হবে এই কর্মসূচির মাধ্যমে। আগামী ২ আগস্ট থেকে বাংলার ৮০ হাজার বুথে শুরু হওয়া ক্যাম্পে মূলত সরকারি আধিকারিকরা থাকবেন। তাঁরাই গ্রাম বা পাড়ার বাসিন্দাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ পেয়েছেন। কিন্তু তাঁরাই শুধু নন। ওইসব ক্যাম্পে নিয়মিত হাজির থাকতে হবে পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভার জনপ্রতিনিধিদেরও। বুধবার নবান্ন থেকে সমস্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে সেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
ঠিক কীভাবে কাজ হবে ‘আমার পাড়া, আমার সমাধান’ প্রকল্পে? সেসব বিশদে আলোচনা করতেই বুধবারের ভারচুয়াল বৈঠক ছিল। সেখানে জোর দেওয়া হয়েছে এলাকার সমস্যা সমাধান ও ছোট ছোট স্তরে উন্নয়নের কাজে। এসব ক্যাম্পে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ চাইছে নবান্ন। পঞ্চায়েত সদস্য, সমিতির সভাপতি, জেলা সভাধিপতি, বিডিও, পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিক থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত প্রধান, বিধায়করাদেরও উপস্থিত থেকে কাজ দেখভাল করতে হবে। সেই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করে কাজের তালিকা তৈরি করে গুরুত্ব অনুযায়ী অগ্রাধিকার দিতে হবে।
মঙ্গলবার এই প্রকল্প ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে ছিলেন, গোটা কাজ দেখভালের জন্য মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্স গড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনিই জেলায় জেলায় আলাদা টাস্ক ফোর্স গড়ে দেবেন। তাঁর এই তদারকিতে প্রত্যেক জেলায় প্রশাসনিক কাজের গতি হবে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা শীর্ষ সরকারি আধিকারিকদের। আসলে ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে কোনও কাজ অসমাপ্ত রাখতে চাইছে না শাসক শিবির। বিশেষত নাগরিক পরিষেবার কাজ। যার উপর ভিত্তি করে বারবার ভোটযুদ্ধে নিজেদের ঝুলি ভরিয়েছে তৃণমূল। চতুর্থবারও তৃণমূল সরকার গঠনের লক্ষ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে বড় শক্তি হতে চলেছে এই কর্মযজ্ঞ।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকা
এনএন/ ২৪ জুলাই ২০২৫