ঢাকা, ২৫ জুলাই – টানা দুই জয়ে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হাতছানি ছিল হোয়াইটওয়াশের। তবে এমন মোক্ষম সুযোগের ম্যাচে একাদশে একগাদা পরিবর্তন নিয়ে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এসেছিল ৫ পরিবর্তন।
দলে ছিলেন না পারভেজ ইমন, তাওহীদ হৃদয়, তানজিম সাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন। তাদের জায়গায় একাদশে ফেরেন তানজিদ তামিম, মেহেদী মিরাজ, সাইফউদ্দিন ও নাসুম আহমেদরা।
মূলত ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন দাস। আলাদা করে বললে পেস বোলারদের জন্য৷ ক্রিকেটের ঠাঁসা সূচিতে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম পাওয়াই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই কোন পেসারকে কখন খেলাতে হবে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেছেন, ‘দেখেন তাসকিন অনেকদিন পর ক্রিকেটে ব্যাক করেছে। আর আপনারা হয়তোবা সবাই জানেন যে ও যদি কন্টিনিউয়াসলি খেলতে থাকে ওর ইনজুরির চান্স প্রোভাবলি বেশি থাকবে। শরিফুলও সেম, পাকিস্তান সিরিজে ও গ্রোইন ইনজুরিতে পড়েছিল। ইনফ্যাক্ট ক্যান্ডিতে না ডাম্বুলায় যেন ওর একটু গ্রোইন এ প্রবলেম ছিল। সো জিনিসটা এমন না, আপনাকে বুঝতে হবে যে কোন প্লেয়ারটার কতটুকু, কোন কোন গেম খেলালে তার জন্য ভালো হবে।’
লিটন আরও যোগ করেন, ‘আমাদের হাতে কিন্তু বাংলাদেশে যারা দেখছেন তার থেকে আরও দু-তিনজন আছে যারা কি না বেস্ট পেস বোলার। সো আমরা যদি তাদেরকে হারায় ফেলি কোনো কারণে তাহলে কিন্তু যে স্বপ্নটা বা যে আশা নিয়ে আমরা চিন্তা করি সেখানে কিন্তু আমরা পৌঁছাতে পারব না। সো আমার মনে হয় প্রত্যেকটা প্লেয়ারকেই সুযোগ দেওয়াটা উচিত এবং সাথে সাথে তাদের স্বাস্থ্যের জিনিসটা দেখা উচিত।’