ঢাকা, ২৪ জুলাই – গণতন্ত্র হত্যা এবং শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বানানোর মেইন আর্কিটেক্ট (স্থপতি) হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। তার এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত যেন ভবিষ্যতে নতুন কোনো খায়রুল হকের জন্ম বিচারাঙ্গনে না হয়। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন তিনি। এর আগে সকালে সাবেক প্রধান বিচারপতিকে রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি আব্দুল মতিন ও বিচারপতি শাহ আবু নাঈমকে বাদ দিয়ে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছিল তখনকার সময়ে।
গত বছর এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে বিচারক হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে ‘দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলক’ বে-আইনি রায় দেওয়া ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে দণ্ডবিধির ২১৯ ও ৪৬৬ ধারায় শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়।
সম্প্রতি সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। ‘দেশের বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর’ উল্লেখ করে তাকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানায় সংগঠনটি। বিচারাঙ্গনে তুমুলভাবে আলোচিত-সমালোচিত এ বিচারপতির বেশ কয়েকটি রায় চরম বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। তিনি সরকারের পক্ষে রায় দিয়ে আওয়ামী আমলে নানাভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছেন।