কক্সবাজারের রামুতে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার পাঁচজন যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় স্থানীয়রা রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করার পর চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে দপ্তর থেকে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর পৌনে ২টার দিকে রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী এবং সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলীকে সদস্য করা হয়েছে। কমিটিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং সুপারিশ প্রদান করতে বলা হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামের আন্তঃনগর ট্রেনটি রশিদনগর এলাকায় পৌঁছালে অটোরিকশাটি রেললাইনে উঠে পড়ে। ট্রেনটি ধাক্কা দিলে অটোরিকশাচালকসহ পাঁচজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, অটোরিকশাটি ট্রেনের ইঞ্জিনে আটকে থেকে কিছুদূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়, যা দুর্ঘটনাটিকে আরও ভয়াবহ করে তোলে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থলে গেটম্যান ছিল না, তবে সেখানে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ছিল যেখানে নিজ দায়িত্বে পারাপার হতে বলা হয়েছে। তারপরও দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে রাখে। পরে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় তা সচল করা হয়।
স্থানীয়দের ভাষ্য, এটি নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগেও রশিদনগর রেলক্রসিং এলাকায় একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারা অভিযোগ করেছেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও গেটম্যান না থাকায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে।