চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের পেশাদার সন্ত্রাসী ও মামলার দুইবছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গিয়াস উদ্দিন (৩০) অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। থানার এএসআই আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম শনিবার (৯ আগস্ট) বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বদরখালী ইউনিয়নের কুতুবদিয়াপাড়ায় অভিযান চালিয়ে নিজবাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত গিয়াস উদ্দিন বদরখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়ার মৃত আবদুল খালেক এর ছেলে।
অভিযান পরিচালনাকারী চকরিয়া থানার এএসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত গিয়াস উদ্দিন একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এলাকায় নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
তৎমধ্যে ২০১৯ সালের জিআর (নং ৯৯০০/১৯) মামলায় আদালত কতৃক দুইবছরের সাজা এবং অপর একটি সিআর (নং ৪১/১৯) মামলায় আদালত কতৃক ওয়ারেন্ট রয়েছে।
এদিকে শনিবার বিকালে গ্রেফতারের পর সাজাপ্রাপ্ত আসামি গিয়াস উদ্দিনকে পুলিশ চকরিয়া থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরপর আসামি গিয়াস উদ্দিনের পরিবার সদস্য এবং আত্মীয় স্বজন জড়ো করে গিয়াসকে আটকের পেছনে পুলিশকে খবর দেয়ার অভিযোগ তুলে প্রতিবেশি আবদুল মালেকের পরিবারের উপর হামলার চেষ্টা করে।
একপর্যায়ে তাঁরা ওই পরিবারের সদস্যদেরকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দেন। এ অবস্থায় পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে শনিবার রাতে মৃত আবদুল মালেক এর স্ত্রী পারভীন সুলতানা (৫০) বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে এব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃত গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি মামলায় দুইবছরের সাজা এবং একটি মামলায় আদালত কতৃক পরোয়ানা জারি রয়েছে। তাঁকে রোববার (১০ আগস্ট) আদালতে সৌপদ্দ করা হবে।
ওসি বলেন, সাজাপ্রাপ্ত ওই আসামিকে গ্রেফতারের পর প্রতিবেশি আবদুল মালেকের পরিবারের উপর হামলার চেষ্টা এবং হুমকি দেয়ার ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে ব্যবস্থা নিতে থানার এএসআই আনোয়ার হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ##