কক্সবাজারের চকরিয়ায় চারদিন ব্যাপী মহাউৎসব শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্টানের সুচনা হয়েছে। এতে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো ভক্তবৃন্দ অংশ নেন।
মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরুর আগে মন্দির প্রাঙ্গনে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে। চকরিয়া সার্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দির মহোৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি তেজেন্দ্র লাল দে এর সভাপতিত্বে এবং শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি নারায়ণ কান্তি দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিৎ দাস।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইয়াছিন মিয়া, চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতে ইসলামের আমির আরিফুল ইসলাম (আরিফ), চকরিয়া উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রতন বরণ দাশ, চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের সাবেক সভাপতি প্রদীপ কান্তি দাশ, চকরিয়া জুয়েলার্স সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুলাল কান্তি সুশীল, চকরিয়া অন্তরা সাংস্কৃতিক শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ দ্বীপলাল চক্রবর্তী, চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবলা দেবনাথ, চকরিয়া পৌরসভা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি টিটু কুমার বসাক, চকরিয়া নিত্যানন্দ গীতা সংঘের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র দাশ, চকরিয়া শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের কার্যকরী সভাপতি শ্রীদুল কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক নন্দরাম দাশ, অর্থ সম্পাদক উজ্জ্বল দে শিমুল, চকরিয়া জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সদস্য সাংবাদিক ছোটন কান্তি নাথ, চকরিয়া উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সার্বিক তত্বাবধায়ক রঞ্জন দাশ (মনু), চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দির উন্নয়ন কমিটির সহ-সভাপতি রণধীর দাশ, সদস্য সুনীল কান্তি দাশ, চকরিয়া ফ্রেন্ডস ক্লাবের সভাপতি প্রণব কান্তি দাশ, সদস্য সুনীল নাথ, সুর তরঙ্গ এর অধ্যক্ষ অমল সেনসহ প্রমুখ।
বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রাটি চকরিয়া পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ত প্রদক্ষিণ শেষে আবার চকরিয়া সার্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে এসে শেষ হয়। এসময় রাধাকৃষ্ণ, কংস, বসুদেব, দেবকীসহ বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে সেজে সড়কে নৃত্যু করে তারা। আর শোভাযাত্রায় ঢাক-ডোল, কাশা-ঘন্টাসহ নানা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে এবং নানা ধরনের ফেস্টুন নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন ভক্তরা। তবে এসময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্যনীয়। পুরো শোভাযাত্রাটি ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী করেন তারা। এছাড়াও ট্রাফিক বিভাগের পুলিশও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইয়াছিন মিয়া বলেন, কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শোভাযাত্রা যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয, সেজন্য পুলিশ কঠোর ছিলো। পাশাপাশি সাদা পোশাকের আইন-শ্খৃলা বাহিনীও নিয়োজিত ছিলো। বাকি অনুষ্টানগুলোও সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় সেজন্য পুলিশ সজাগ রয়েছে।