শিরোনাম ::
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম বিলম্ব করতে চাইলে ‘টুঁটি চেপে’ ধরা হবে ব্র্যাকের আয়োজনে ‘যুব ক্যারিয়ার ভাবনা’ শীর্ষক সংলাপ সরকারি কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ে কমিশনের প্রথম সভা আজ রংপুরে চোর সন্দেহে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৮ পুলিশ বরখাস্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ১৫ আগস্ট ছাত্রশিবিরের ইসলামি শিক্ষা দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা ইসরায়েলি হামলায় গাজায় একদিনে ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, খুলে দেয়া হলো ৪৪ জলকপাট তেজগাঁওয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৫৯ জনকে গ্রেফতার ছিনতাই প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
August 14, 2025, 11:46 am
নোটিশ::
আমাদের নতুন ডোমেইনে আপনাকে স্বাগতম, কক্সবাজার পোস্ট ডটকমের জনপ্রিয়তাকে পুজিঁ করে অনেক নতুন ফেইসবুক পেইজ খোলা হয়েছে,তাদের কার্যকলাপের জন্য আমরা দায়ী নয়  

চকরিয়ায় সুরক্ষা সেবা পাচ্ছে ৫৩ হাজার উপকারভোগী-ইউএনও জেপি দেওয়ান

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: সোমবার, জুন ২০, ২০২২

এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় মাঠপর্যায়ে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে কাজ করছেন বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংগঠন “ইয়াং পাওয়ার ইন সোসাল এ্যাকশান” ইপসা। উপজেলার উল্লেখিত অঞ্চলে সংস্থার প্রকল্পের উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে, প্রতিটি এলাকায় লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা কমিয়ে আনা এবং বন্ধ করা, ভিকটিমকে সহিংসতা থেকে সুরক্ষাদানে সহযোগিতা করা, সমাজে সহিংসতার ঝুঁিক কমানো এবং অবহেলিত নারীদের আত্ব-নির্ভরশীল হতে সহায়তা করা।
উপকারভোগীদের জীবনমান উন্নয়ন সহায়তা কর্মসুচির আলোকে সংস্থাটির উদ্যোগে স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যক্রম গতিশীল করতে স্থানীয় রাজনৈতিক, পেশাজীবি সামাজিক সংগঠন ও ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও কাউন্সিলিং জোরদার করা হয়েছে। সোমবার ২০ জুন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে ইপসা’র আয়োজনে ‘সহিংসতার শিকার নারীদের অধিকার রক্ষায় চকরিয়ার সার্ভিস প্রোভাইডরদের সাথে কর্মশালায়’ প্রকল্পের বিস্তারিত বিষয় খোলাসা করা হয়।
ইপসা চকরিয়া উপজেলা ম্যানেজার ফিরোজা বেগম ঝুমুর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ইপসার টেকনিক্যাল এডভাইজার শমসের উদ্দিন মোস্তফা। সেমিনারে সম্মানিত অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা.শোভন দত্ত, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী, মাতামুহুরী পুলিশ ফাড়ির ইনর্চাজ পুলিশ পরিদর্শক আবদুল জব্বার।
এছাড়া অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে মতামতমুলক বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন, আইআরসির টেকনিক্যাল ম্যানেজার সুলতানা রাজিয়া। অংশগ্রহনকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থা সমুহের প্রতিনিধি, এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দানকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক সুধীজন।
সেমিনারে চকরিয়া উপজেলা ম্যানেজার ফিরোজা বেগম ঝুমু ইপসার প্রকল্প কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ইপসার উদ্যোগে চকরিয়া উপজেলার পাঁচটি নারী ও কিশোরী সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬০০ জনকে কেইস মেনেজম্যান্ট সেবা দিয়েছে। একইভাবে ৩৪ হাজার ৫০০ মানুষের মাঝে কোভিট ১৯ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দুরিকরণে সচেতনতা বিষয়ক কাউন্সিলিং করা হয়েছে।
পাশাপাশি উপজেলার সাহারবিল, চিরিঙ্গা, পশ্চিম বড়ভেওলা, পুর্ববড় ভেওলা, বদরখালী, ঢেমুশিয়া, বিএমচর, কোনাখালী, কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বমুবিলছড়ি, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী ও হারবাং ইউনিয়নসহ মোট ১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় উল্লেখিত বিষয়ের আলোকে স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যক্রম গতিশীল করতে স্থানীয় রাজনৈতিক, পেশাজীবি সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সভাও করেছে।
তিনি বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতা ও সুরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নারীদের সঙ্গে পুরুষদের সম্পৃক্ততায় মোট ১৮ হাজার ৬০০ জনকে বিভিন্ন সচেতনতামুলক কার্যক্রম যুক্ত করা হয়েছে।
ইপসার টেকনিক্যাল এডভাইজার শমসের উদ্দিন মোস্তফা বলেন, কোভিড ১৯, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক, নারী ও কিশোরী সেবা কেন্দ্রের মাধ্যম কেইসম্যানেজম্যান্ট সেবা প্রদান, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা দুরিকরণ বিষয়ে কাউন্সিলিং করা, উপজেলায় প্রকল্প বিষয়ে অবহিতকরণ সভার আয়োজন। পাশাপাশি সচেনতা ও সুরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইউপি, পৌরসভা ও উপজেলার নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যকর বিষয়ক মিটিং ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করা ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইসপা।
সেমিনারে প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেছেন, বাল্যবিয়ে এবং সামাজিক নানা অসঙ্গতির সুযোগে নারী শিশু নির্যাতন বাংলাদেশে একটি অভিশাপ হয়ে দাঁিড়য়েছে। আবার এই প্রবণতা বাড়ার পেছনে সমাজের একশ্রেণীর মানুষ জড়িত। তাঁরা সহযোগিতা দেন বলে গোপনে বাল্যবিয়ের প্রভাব এখনো সমাজে দেখা মেলে।
তিনি বলেন, দেশের অগ্রগতি উন্নয়নের পাশাপাশি সরকার আইনী থেকে শুরু করে সবধরণের সহায়তার মাধ্যমে নারী শিশু নির্যাতন বন্ধে কাজ করছেন। এইক্ষেত্রে এনজিও ইপসা নারী শিশু নির্যাতন বন্ধে মাঠপর্যায়ে যে কাউন্সিলিং কর্মসুচি বাস্তবায়ন করছেন, তা নিসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। এভাবে সমাজের অসঙ্গতিগুলো দুর করতে প্রতিটি নাগরিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে। তাতে সমাজে বদলে যাবে। উপকৃত হবে দেশ। আশাকরি সবাই ইপসার মতো দায়িত্বশীল জায়গা থেকে সুন্দর আগামীর জন্য কাজ করবেন। ##


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর: