কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে সুদুর আফ্রিকা থেকে উড়ে এসেছেন নতুন অতিথি তিনটি বাঘ।
বৃহস্পতিবার সকালে এ তিনটি বাঘ সাফারি পার্কে পৌঁছার পর তাদের ঠাই হয়েছে পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালের কোয়ারান্টাইনে। সকালে খাবার খাইয়ে দেয়ার পর শাররীক অবস্থা পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে বাঘ তিনটিকে কোয়ারান্টাইনে নিবিড় পরিচর্যায় পর্যবেক্ষনে রেখেছেন ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা।
নতুন তিনটি বাঘ পার্কে আনার বিষয়টি গতকাল শুক্রবার বিকালে নিশ্চিত করেছেন ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (রেঞ্জ অফিসার) মোঃ মনজুর আলম।
তিনি বলেন, বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফ্যালকন ট্রেডার্স দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কার্গো বিমানে করে এ বাঘ তিনটি (বয়স ১১ থেকে ১৫ মাস) বুধবার ঢাকায় আনা হয়। সেখান থেকে সড়ক পথে ট্রাকে করে বৃহস্পতিবার সকালে বাঘগুলো ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে পৌঁছে। দ
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালের চিকিৎসক হাতেম সাজ্জাদ জুলকারনাইন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাঘ তিনটি সাফারি পার্কে পৌঁছে। এরপর প্রাথমিক চেকআপ শেষে সরবরাহে নিয়োজিত ঠিকাদারের হেফাজতে তিনটি বাঘকে হাসপাতালের কোয়ারান্টাইনে নেওয়া হয়েছে।
২১ দিন কোয়ারান্টাইনে রাখার পর শাররীক অবস্থা পরীক্ষা করে বাঘগুলো পার্কের নির্ধারিত বেস্টনীতে অবমুক্ত করা হবে। তখন দর্শনার্থীরা দেখার সুযোগ পাবে। তবে ২১ দিন পর শাররীক পরীক্ষায় অসুস্থ বা অন্য কোন অসঙ্গতি ধরা পড়লে গ্রহন করা হবে না।
জানতে চাইলে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) ও ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ বলেন, ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে আগে থেকে চারটি বাঘ রয়েছে। তারমধ্যে দুটি পুরুষ (বাঘা) ও দুইটি নারী বাঘ (বাঘিনী)
এখন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সংগ্রহ করা তিনটির মধ্যেই রয়েছে দুটি নারী (বাঘিনী) ও একটি পুরুষ (বাঘা) বাঘ। নতুন সংগ্রহসহ সাফারি পার্কে এখন মোট বাঘের সংখ্যা হয়েছে সাতটি।
ডিএফও আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নতুন আনা বাঘ তিনটি প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা শেষে সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালের কোয়ারান্টাইনে নিবিড় পরিচর্যায় পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। ##