কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে জুলাই ছাত্র জনতা গণ-অভ্যুত্থানের ১ম বর্ষ ফূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত গণ মিছিলে মানুষের ঢল নেমেছে।
৫ আগষ্ট (মঙ্গলবার) বিকাল ৪ টায় পেকুয়া আনোয়ারুল উলুম আলিম মাদরাসার গেইট থেকে শুরু হয়ে পেকুয়া চৌমুহনী, পেকুয়া বাজার পেরিয়ে ওয়াপদা চত্বরে মিছিলটি শেষ হয়।
সাধারন মানুষের ধারনা গণ মিছিলে উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়ন বিএনপি ও সহয়োগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ জনগনও অংশ নেয়। মিছিলে নারীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। মিছিলটি যেন জনসমুদ্রে পরিনত হয়েছে।
বিকাল ৪ টায় গণ মিছিলের সময় নির্ধারণ করা হলেও ৩ টা থেকে শিলখালী ইউনিয়নের আহবায়ক আবদুর রশিদ ও সদস্য সচিব আসহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে বিএনপি, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, কৃষক দল, ছাত্র দলের নেতাকর্মীরা বিশাল মিছিল নিয়ে আনোয়ারুল উলুম আলিম মাদরাসার গেইটে অবস্থান নেন।
একইভাবে পেকুয়া সদর পূর্ব জোন বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর, বারবাকিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মাস্টার ইউনুসের নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও মাদরাসা গেইটে অবস্থান নেয়।
অপরদিকে টইটং ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মাষ্টার জয়নালের নেতৃত্বে, মগনামা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফয়সাল চৌধুরীর নেতৃত্বে, উজানটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক রেজাউল করিম চৌধুরী মিন্টুর নেতৃত্বে অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা পেকুয়া বিএমআই কলেজের মাঠে জমায়েত হন। মহিলা দলের সভানেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ঝিনু ও সম্পাদক শওকত আরা শেফুর নেতৃত্বে ৮ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা কর্মীরা পেকুয়া চৌমুহনী দলীয় কার্যালয়ে জমায়েত হন।
পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন সাংগঠনিক সম্পাদক ডা.বেলাল উদ্দিন হায়দার, মোসলেম উদ্দিন পশ্চিম জোন বিএনপি সভাপতি শাহনেওয়াজ আজাদের নেতৃত্বে বিএবপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পেকুয়া চৌমুহনী দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন। উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুটের নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিলে অংশ নেয়। বিকাল ৪ টায় মহিলা দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী সামনে রেখে সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে গণ মিছিল শুরু হয়ে পেকুয়া বাজার অভিমুখে যাত্রা করলে আনোয়ারুল উলুম আলিম মাদরাসা থেকে ও বিএমআই কলেজ থেকে টইটং বারবাকিয়া থেকে বিক্ষিপ্তভাবে আসা বহর পেকুয়া চৌমুহনী মানুষের ঢলে মিছিলের সারি ভেঙ্গে জনসমুদ্রে রুপান্তরিত হয়।
মিছিলের অগ্রভাগ পেকুয়া বাজার পেরিয়ে ওয়াপদা চত্বরে সমাবেশ শুরু হলেও মানুষের জটলা চৌমুহনীর দলীয় কার্যালয়ে আটকে থাকে। চৌমুহনী থেকে ওয়াপদা সত্বর পর্যন্ত বিশাল জনসমুদ্র একাকার হয়ে যায়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম. বাহাদুর শাহ বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনের মূখে ফ্যাসিবাদ পালিয়ে গেলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো লুকিয়ে আছে। এদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও ফ্যাসিবাদীর অস্তিত্ব বাংলার জমিনে হবেনা।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির মিছিলে সাধারণ নারী পুরুষের ঢলই প্রমাণ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ কত জনপ্রিয়। তিনি হাজারো জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ ও বিএনপির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে।