শিরোনাম ::
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডাচ দূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ, জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে গান উপহার শিখতে নয়, ট্রফি জিততেই অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন সোহানরা পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ১০ আগস্ট সকালে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের ফল প্রকাশ নাটোরে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই ভাই আটক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ-লাওস সমঝোতা স্মারক সই গণ-অভ্যুত্থানকালীন ঘটনায় ১৯টি মামলায় চার্জশিট, ৮টি হত্যা মামলা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই চীন সফরে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী ঐক্যবদ্ধ থাকুন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মুখ দেখাদেখি যেন বন্ধ না হয় আ.লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মেজরের স্ত্রী জাফরিন আটক
August 7, 2025, 8:27 am
নোটিশ::
আমাদের নতুন ডোমেইনে আপনাকে স্বাগতম, কক্সবাজার পোস্ট ডটকমের জনপ্রিয়তাকে পুজিঁ করে অনেক নতুন ফেইসবুক পেইজ খোলা হয়েছে,তাদের কার্যকলাপের জন্য আমরা দায়ী নয়  

পেকুয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::

দুর্নীতি ও বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার এক স্কুল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি টইটং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদুল আলমের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এমনই একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি জানাজানি হলে ওইদিন থেকেই ছুটির কথা বলে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত আছেন প্রধান শিক্ষক ফরিদুল।

প্রধান শিক্ষক ফরিদুল আলম অতিরিক্ত ক্লাস ও এসাইনমেন্টের নামে টাকা আত্মসাৎ, ২০২৩ সালের প্রণোদনার ৫ লক্ষ টাকা বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে না লাগিয়ে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করার কথা উল্লেখ করেন লিখিত অভিযোগে।

এছারা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বচ্ছতা থাকা সত্বেও শিক্ষকদের নায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা, শিক্ষক- কর্মচারীদের সাথে অশালীন আচরণ করা, ভাউচার বানিজ্য, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মাসিক ফি ও পরীক্ষার ফি আদায়সহ অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

এদিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ফরিদুল আলমের পদত্যাগের একদফা দাবীতে ব্যানার হাতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক ফরিদুল আলম শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন৷ তিনি নানা অজুহাতে বিদ্যায়লের চেয়ে বাইরে বেশি সময় পার করেন৷ যার ফলে বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা চলছে। ওনার অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে অন্যত্রে চলে গেছে। বিদ্যালয়ের স্বার্থে আমরা অতিদ্রুত ওনার পদত্যাগের দাবী জানাচ্ছি।

এছাড়াও প্রধান শিক্ষক ফরিদুল আলমের পদত্যাগ দাবী করেছেন শিক্ষক- কর্মচারী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবক মন্ডলী ও স্থানীয় সচেতন মহল।

তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক ফরিদুল আলম বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর প্রভাব বিস্তার করে নিজের তৈরি করা নিয়ম অনুযায়ী স্কুল পরিচালনা করেছেন৷ সকল অনিয়মকে নিয়মনে পরিনত করতে শিক্ষক- কর্মচারীদের জোর করে বাধ্য করতেন তিনি। এমনিকি প্রধান শিক্ষকের ইশারায় কমিটির সভাপতি জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী শিক্ষার্থীদের ওপর হাতও তুলতেন। আমরা অতি দ্রুত ওনার পদত্যাগ দাবী জানাই।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো.ফরিদুল আলম জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে স্বচ্ছতার সহিত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমাকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সরাতে শিক্ষকদের মধ্য থেকেই একটি মহল আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। তারা সবাই এক হয়ে বিদ্যালয়ের মধ্যে আমাকে আয়নাঘরের মত অবস্থায় রেখেছিলো। আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এসব ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছে তাঁরা। সেই সাথে কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরও আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

###


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর: