শিরোনাম ::
৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই আইএমও নির্বাচনে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন চাইলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা ও প্রাণিসেবা আধুনিকায়নের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার গাজীপুরে বাড়ছে নির্বাচনী আসন, কমছে বাগেরহাটে শেখ হাসিনার রাতের ভোটের পরামর্শদাতা তৎকালীন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী! রাষ্ট্র মেরামতের এ সুযোগ কোনোভাবেই মিস করলে চলবে না তাবলিগ জামাতের দুইপক্ষের বিবাদ মেটাতে কমিটি গঠন করছে সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা নিয়ে মাউশির নতুন নির্দেশনা জামায়াত আমীরের হার্টে একাধিক ব্লক, জরুরি ভিত্তিতে বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত ছাত্র উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করার চেষ্টা হচ্ছে
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

‘বিরল ভাষণে’ যে হুঁশিয়ারি দিলেন মিয়ানমার সেনাপ্রধান

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩
‘বিরল ভাষণে’ যে হুঁশিয়ারি দিলেন মিয়ানমার সেনাপ্রধান


নেপিডো, ২৭ মার্চ – সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীর দ্বারা ‘সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড’কে কঠোরভাবে মোকাবেলা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মিয়ানামারের জান্তা প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। সোমবার রাজধানী নেপিদোতে বার্ষিক সশস্ত্র বাহিনী প্যারেডে এক বিরল বক্তৃতায় একথা বলেন তিনি। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মিন অং হ্লাইং তার সরকারের মানবাধিকার রেকর্ডের সমালোচনাকারী দেশগুলোকে সন্ত্রাসের সমর্থক হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন।

২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর থেক মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী প্রতিরোধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একটি রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে আটকে আছে। এই সংঘর্ষে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

৬৬ বছর বয়সী এই সেনাপ্রধান উল্লেখ করেন, ‘মানুষের স্বার্থ নষ্ট করতে চায় এমন সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য “গুরুত্বপূর্ণ শহরে” সামরিক আইন ক্রমবর্ধমানভাবে জারি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ‘বিজয়ী দলের’ কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে, যদিও চলমান সংঘাতের কারণে এটি কখন ঘটবে তা স্পষ্ট নয়।

জাপানি আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিয়ানমারের জাতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠার ৭৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই অনুষ্ঠান বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। এর মাধ্যমে ক্রমবর্ধমানভাবে বিচ্ছিন্ন মিয়ানমার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক সামরিক শক্তি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে।

সোমবারের কুচকাওয়াজে অভ্যুত্থানের এই নেতাকে অভিনন্দন জানানো ইউনিটগুলোর মধ্যে রয়েছে বেসামরিক গণহত্যার মতো অকথ্য নৃশংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত অনেকে, যারা তাদের কর্মকাণ্ডের কারণে আন্তর্জাতিক নিন্দা ও নিষেধাজ্ঞার তোপে পড়েছে।

দেশটি অবশ্য চীন ও রাশিয়ার সমর্থন ধরে রেখেছে, যাদের কর্মকর্তারা কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি বেইজিং থেকে কেনা চীনা কে৮ গ্রাউন্ড অ্যাটাক এয়ারক্রাফট এবং এফটিসি২০০০ জেটের পাশাপাশি রাশিয়ান এমআই৩৫ গানশিপ প্রদর্শন করা হয়েছে। অভ্যুত্থানের পর থেকে এই অস্ত্রের অনেকগুলোই বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে হামলায় ব্যবহার করে প্রায়শই বেসামরিক মানুষ এমনকি শিশুদেরও হত্যা করা হয়েছে।

সূত্র: বাংলানিউজ
এম ইউ/২৭ মার্চ ২০২৩





আরো খবর: