ঢাকা, ১১ আগস্ট – ‘রাজাকারের কী অবস্থা হয়েছে দেখিস নাই, সবগুলোকে ফাঁসি দিছি এবার তোদেরও ছাড়ব না।’
গত বছরের ১৪ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে মোবাইলে এভাবেই আন্দোলনকারীদের হুমকি দিয়েছিলেন গণঅভ্যুত্থানের মুখে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১১ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালে চানখারপুল গণহত্যা মামলায় সূচনা বক্তব্যে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনা ও ঢাবির সাবেক ভিসির ফোনালাপ তুলে ধরেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ ফোনালাপ জমা দিয়েছে প্রসিকিউশন।
সেই অডিওতে মাকসুদ কামালকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ইংল্যান্ডে ছাত্ররাজনীতির জন্য কয়েকজনকে গুলি করে মেরে ফেলেছিল, ওই রকম অ্যাকশন নেওয়া ছাড়া আরও কোনো উপায় নাই।’
এদিন বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে এজলাসে ওঠেন তিন বিচারপতির প্যানেল। এরপর সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রথম সাক্ষী হিসেবে ডায়াসে ওঠেন শহীদ আনাসের বাবা সাহরিয়ার খান পলাশ। শপথ পড়ানোর পর তিনি গত বছরের ৫ আগস্ট ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনা বর্ণনা করেন। একইসঙ্গে তার ছেলে আনাসসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্য নিহত-আহতদের জন্য দায়ীদের ফাঁসি চান।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ১১ আগস্ট ২০২৫