শিরোনাম ::
ছেলের বাইক দুর্ঘটনার খবর শুনে স্ট্রোক করে মারা গেলেন মা কক্সবাজারে ট্রেনে ইয়াবা পাচার বেড়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১ কেজি গাঁজাসহ নারী গ্রেপ্তার ‘১৭ লাখ রোহিঙ্গা পশ্চিমবঙ্গের কোথায়? ঠিকানা দিন’—মমতার চ্যালেঞ্জ চকরিয়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে সদ্য নির্মিত দুইটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চকরিয়ায় চাঁদাবাজ চক্রের রোষানলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন কমিশনার নুর হোসেনের পরিবার চকরিয়ায় ভাইয়ের বিয়ের বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি চাপা পড়ে ছোট বোন নিহত রামুর খুনিয়াপালংয়ের যুবদের নাগরিক সাংবাদিকতা বিষয়ক রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ সম্পন্ন রামুর উখিয়ারঘোনা তা’লিমুল কুরআন মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীরা সংবর্ধিত নির্বাচন বানচাল করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে না: সালাহউদ্দিন
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৬ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

হার্টের প্রাথমিক লক্ষণ কী কী?

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
হার্টের প্রাথমিক লক্ষণ কী কী?


বিশ্ব হার্ট দিবস আজ। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে এ দিনটি। এবারের প্রতিপাদ্য ‘use heart, know heart’। হার্টের সুস্থতার জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। এজন্য জানা প্রয়োজন হার্টের অসুস্থতার প্রাথমিক লক্ষণগুলো কী।

আপনি কি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন অথবা আপনার বংশে কি কেউ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত আছেন বা ছিলেন? মানে আপনার রক্তের সম্পর্কের কেউ যেমন ভাই-বোন, মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানি অথবা মামা-চাচা বা ফুফু, খালা তারা কেউ কি আক্রান্ত হয়েছেন? আপনার কি ডায়াবেটিস বা রক্তে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল বিদ্যমান আছে বা বংশে কারও ছিল বা আছে? আপনার বয়স কি ৪০ অতিক্রম করেছে? আপনার কি মেদভুঁড়ি আছে? আপনার কি কায়িক শ্রম করার সুযোগ খুবই কম? আপনি কি বিড়ি, সিগারেট, জর্দা পাতা বা গুল ব্যবহার করেন? উপরে উল্লিখিত যে কোনো একটি কারণ আপনার মধ্যে বিদ্যমান থাকলে আপনার হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে বুঝতে হবে এবং একাধিক কারণ বিদ্যমান থাকলে, বিদ্যমান কারণের সংখ্যা যত বেশি আপনার হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তুলনামূলকভাবে ততবেশি বৃদ্ধি পাবে।

হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেহে হৃদরোগের অনেক লক্ষণ পরিস্ফুটিত হয়ে থাকে, তবে এখানে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণসমূহ উল্লেখ করা হলো। যাতে আপাত দৃষ্টিতে সুস্থ মানুষ তার দেহে হৃদরোগ বাসা বেঁধেছে কিনা তা বুঝতে পারে। ফলে প্রাথমিক অবস্থা থেকে চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে হৃদরোগ প্রতিরোধ করে হৃদরোগমুক্ত সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবে। কারণ আমরা প্রায় সবাই জানি, বর্তমান সময়ে মানুষের মৃত্যুর প্রধান এবং অন্যতম কারণ হৃদরোগ।

হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণসমূহ: তাড়াহুড়া করে হাঁটতে গেলে অথবা একটু বেশি সময় ধরে হাঁটাহাঁটি করলে অথবা টেনশন নিয়ে হাঁটতে গেলে বুকে হালকা ব্যথা অনুভূত হতে পারে এবং কিছু সময় থামলে বা হাঁটার গতি কমিয়ে দিলে তাৎক্ষণিকভাবে বুকের ব্যথা দূরীভূত হয়ে যায়। এসব অবস্থায় কারও কারও বুকে ব্যথা অনুভূত না হয়ে বুকে হালকা চাপ অনুভূত হতে পারে এবং একটু থামলে বা গতি কমিয়ে দিলে অল্পক্ষণের মধ্যে চাপ চলে যায় এবং ব্যক্তি স্বাভাবিক হয়ে যায়। পাহাড় বা সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে গেলে বুকে চাপ অথবা ব্যথা অনুভূত হতে পারে এক্ষেত্রেও থেমে গেলে বা বিশ্রাম নিলে ব্যক্তি খুব দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন। অত্যধিক গরমে, অত্যধিক ঠান্ডায় বা বৃষ্টিভেজা আবহাওয়ায় বা কনকনে বাতাসে হাঁটতে গেলে বুক ব্যথা বা বুকের চাপ অনুভূত হতে পারে। ভরা পেটে হাঁটতে গেলে বা অন্য কোনো কাজ করতে থাকলে বুকে চাপ বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে কিন্তু খালি পেটে তা ঘটে না। সর্দি-কাশি, জ্বর অথবা বাতব্যথা আক্রান্তকালে হাঁটতে গেলে বা অন্য কোনো কর্ম সম্পাদন করার সময় বুকের চাপ অথবা ব্যথা অনুভূত হতে পারে কিন্তু সুস্থ স্বাভাবিক সময়ে এ ধরনের কোনো উপসর্গ অনুভূত না-ও হতে পারে। কারও কারও (Pulse) নাড়ির গতি অত্যধিক বৃদ্ধি পায় এবং ব্যক্তি বুক ধড়ফড় বা প্যালপিটিশন অনুভব করেন, যা আগে হতো না। সামান্য টেনশন করলে বা কোনো দুঃসংবাদ শুনলে বুক ধড়ফড় শুরু হয়ে যেতে পারে। তবে এ ধরনের বুক ধড়ফড় প্রাথমিক অবস্থায় অল্প সময়ের মধ্যে নিরাময় হয়ে যায়। পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠা হৃদরোগের একটি অন্যতম লক্ষণ, যদি কেউ কম পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠেন তবে বুঝতে হবে এটা হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণ। হাঁটতে গেলে, একটু ভারী ধরনের কায়িক শ্রম সম্পাদন করতে গেলে, সিঁড়ি বা পাহাড় বেয়ে উপরে উঠতে গেলে কেউ হাঁপিয়ে উঠতে পারেন। তবে বিরূপ আবহাওয়ায় মানসিক টেনশন, ভরা পেটে অথবা ছোটখাটো অন্য অসুস্থতার এবং ইতিপূর্বে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সময়ে ব্যক্তি খুব সহজেই বা অল্প সময়ের মধ্যে হাঁপিয়ে ওঠতে পারেন। কারও কারও হাঁপিয়ে ওঠার সময় মুখ-মাথা বা শরীর ঘেমে যেতে পারে। মেদভুঁড়িসম্পন্ন লোকদের বেলায় পেট ভরে খাওয়ার পরে বিছানায় শুতে গেলে শ্বাসকষ্ট এবং হালকা ও শুকনো কাশির উদ্বেগ হতে পারে, তার সঙ্গে এসব ব্যক্তির পা ফুলে যেতে পারে এবং ঘুমের মধ্যে কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। কখনো কখনো অনেকের দম বন্ধ হয়ে আসে। তাই এসব বিষয়ে অবহেলা না করে আমাদের সবাইকে সচেতন ও যত্নবান হতে হবে। মনে রাখতে হবে এসব ক্ষেত্রে বরাবরই প্রতিকার নয় প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম।

আইএ





আরো খবর: