চট্টগ্রাম, ৩০ জুলাই – ১২ কোটি টাকা দামের গাড়ি নিলামে মাত্র ১ থেকে ৫ লাখ টাকা দর ওঠায় এমপি সুবিধার ৩০ গাড়ি নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। এ অবস্থায় অন্তত দেড়শ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রেখে গাড়ি বিক্রির সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে এনবিআর।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার (নিলাম) সাকিব হাসান।
জানা যায়, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে পালিয়ে যাওয়া দ্বাদশ সংসদের ৩১ জন সংসদ সদস্যের নামে আমদানি করা গাড়িগুলো গত ৯ মাসের বেশি সময় ধরে বিক্রির নানামুখী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। একটি গাড়ি নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট মামলা থাকায় বাকি ৩০টি গাড়ি একবার নিলামেও তোলা হয়েছিল। এমপি কোটায় আনা এসব গাড়ির বাজারমূল্য অন্তত ১২ কোটি টাকা। নিলামে ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
তবে প্রথম নিলামে এসব গাড়ির দর হাঁকা হয়েছে মাত্র ১ থেকে ৫ লাখ টাকা। আর তাই প্রকৃত রাজস্ব আদায়ের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ এসব গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে এখন কৌশল পাল্টাচ্ছে। এরমধ্যে ২১টি গাড়িতে নিলাম বিড হলেও ৯টি গাড়ি কিনতে আগ্রহী কেউ ছিল না। শুধু একটি গাড়ি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা প্রস্তাব করলেও বাকি সবগুলো গাড়ির দর ছিল ১ থেকে ৩০ লাখ টাকার মধ্যে। আর তাই প্রথম নিলামের পর দ্বিতীয় নিলাম স্থগিত করা হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার (নিলাম) সাকিব হাসান বলেন, যদি ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার গাড়ি ১ থেকে ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়, তাহলে সরকারের কোনো রাজস্বই আদায় হবে না। এজন্য এসব গাড়ি দ্বিতীয়বার নিলামে না তুলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে। মতামত পেলেই দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা হবে।