শিরোনাম ::
৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই আইএমও নির্বাচনে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন চাইলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা ও প্রাণিসেবা আধুনিকায়নের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার গাজীপুরে বাড়ছে নির্বাচনী আসন, কমছে বাগেরহাটে শেখ হাসিনার রাতের ভোটের পরামর্শদাতা তৎকালীন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী! রাষ্ট্র মেরামতের এ সুযোগ কোনোভাবেই মিস করলে চলবে না তাবলিগ জামাতের দুইপক্ষের বিবাদ মেটাতে কমিটি গঠন করছে সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা নিয়ে মাউশির নতুন নির্দেশনা জামায়াত আমীরের হার্টে একাধিক ব্লক, জরুরি ভিত্তিতে বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত ছাত্র উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করার চেষ্টা হচ্ছে
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

রেললাইন দেবে গেছে, বেঁকে যায়নি, অক্টোবরেই উদ্বোধন

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩
রেললাইন দেবে গেছে, বেঁকে যায়নি, অক্টোবরেই উদ্বোধন


চট্টগ্রাম, ১৯ আগস্ট – চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন পরিদর্শন করতে গিয়ে রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেছেন, বন্যায় রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এতে কোনো প্রভাব পড়বে না।

তিনি বলেন, বন্যায় রেললাইনের তেমন ক্ষতি হয়নি। পানির কারণে স্লিপারের নিচ থেকে পাথর সরে গেছে। কয়েক জায়গায় সামান্য কিছুটা দেবে গেছে। কিন্তু রেললাইন বেঁকে যায়নি। রেললাইনের মাত্র ৫০০ মিটার এলাকার মধ্যে কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে সাতকানিয়ার তেমুহনী এলাকায় রেললাইনের ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এটি পুরো দেশের মানুষের কাছে স্বপ্নের প্রকল্প উল্লেখ করে তিনি বলেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে রেল চলাচল শুরু হবে। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে এ রেললাইনের উদ্বোধন হবে।

রেলপথ সচিব আরও বলেন, গণমাধ্যমের ছবি দেখে মনে করেছিলাম রেললাইন বেঁকে গেছে। তাই সরেজমিন দেখতে এসেছি। যতটুকু দেখেছি তাতে কোথাও রেললাইন বেঁকে যায়নি। বন্যার পানির কারণে কিছু অংশের পাথর সরে গেছে। কিছু অংশে লাইন সামান্য দেবে গেছে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে আঁকাবাঁকা হয়ে গেছে। কাছে গেলে বোঝা যাচ্ছে আসলে বাঁকা হয়নি। তবে টেকনিক্যাল বিষয়টিতে ভালো বলতে পারবে। টেকনিক্যাল টিম এটা নিয়ে কাজ করছে। তাদের প্রতিবেদনের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে।

সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের যেন ভোগান্তি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে চান। রেল যখন কোনো প্রকল্প হাতে নেয় তখন সেখানকার বিগত ১০০ বছরের নদীর গতিপথ, জোয়ার-ভাটা, জীববৈচিত্র্যের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে কি না- সামগ্রিক বিষয় নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়।

তিনি বলেন, এ রেললাইন প্রকল্পে যা ছিল তার চেয়ে ৪০টি ব্রিজ-কালভার্ট বেশি করা হয়েছে। জনগণের দাবি এবং কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি যে এখানে কালভার্ট ব্রিজ বাড়ালে ভালো হবে তখন সেখানে বাড়িয়ে দিয়েছি। এখানে আসার পর আমরা আলোচনা করছি যে তেমুহনী এলাকায় আরও কয়েকটি ব্রিজ-কালভার্ট করে দেবো, ভবিষ্যতে যাতে বন্যার পানি নিয়ে কোনো সমস্যা না হয়। আগামী ১০০ বছরের কথা মাথায় রেখে এ ব্রিজ-কালভার্ট দেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে পাথর দিয়ে রেললাইনও উঁচু করা যাবে।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শনকালে সচিবের সঙ্গে রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান, প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান ভুইয়া, রেলওয়ের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ডেপুটি ডিরেক্টর সৌরভ বাবু ও প্রকল্পের টিম লিডার ইস্টিবেন প্রেগনাল ছিলেন।

সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ১৯ আগস্ট ২০২৩



আরো খবর: