শিরোনাম ::
কক্সবাজারে ট্রেনে ইয়াবা পাচার বেড়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১ কেজি গাঁজাসহ নারী গ্রেপ্তার ‘১৭ লাখ রোহিঙ্গা পশ্চিমবঙ্গের কোথায়? ঠিকানা দিন’—মমতার চ্যালেঞ্জ চকরিয়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে সদ্য নির্মিত দুইটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চকরিয়ায় চাঁদাবাজ চক্রের রোষানলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন কমিশনার নুর হোসেনের পরিবার চকরিয়ায় ভাইয়ের বিয়ের বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি চাপা পড়ে ছোট বোন নিহত রামুর খুনিয়াপালংয়ের যুবদের নাগরিক সাংবাদিকতা বিষয়ক রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ সম্পন্ন রামুর উখিয়ারঘোনা তা’লিমুল কুরআন মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীরা সংবর্ধিত নির্বাচন বানচাল করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে না: সালাহউদ্দিন বসতঘরে মিলল ১ লাখ পিস ইয়াবা, নারী আটক
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

১৫০ বছরের সাজার মুখে অং সান সু চি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

১৫০ বছরের সাজার মুখে অং সান সু চি
সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গৃহবন্দি থাকা মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির আরও একটি অভিযোগ এনেছে দেশটির সামরিক সরকার। এটি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির ১১তম অভিযোগ। সবগুলো অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে নোবেলজয়ী এই নেত্রী দেড়শো বছরের বেশি মেয়াদে সাজার মুখোমুখি হতে পারেন।

শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মোট ১১টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর প্রতিটিতে পৃথকভাবে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড হতে পারে তার। আর সেটি হলে সু চির মোট সাজার মেয়াদ ১৫০ বছর ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এর আগে গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির আরও ৫টি অভিযোগ এনেছিল জান্তা সরকার। সেসময় জানানো হয়েছিল, এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রতিটির জন্য ১৫ বছর করে কারাভোগ করতে হতে পারে তাকে।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ইনফরমেশন টিম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিজের মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত একটি চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের জন্য ৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান গ্রহণ করেছিলেন অং সান সু চি। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার পুলিশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।

অবশ্য বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ আনা হলেও এর বিচারিক কার্যক্রম ঠিক কবে নাগাদ শুরু হতে পারে সেটি ওই বিবৃতিতে জানানো হয়নি।

শান্তিতে নোবেলজয়ী ৭৬ বছর বয়সী সু চির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ইতোমধ্যে প্রায় এক ডজন মামলা করেছে মিয়ানমারের জাতীয় ক্ষমতায় আসীন জান্তা। রাজধানী নেইপিদোর জান্তানিয়ন্ত্রত আদালতেই বিচার চলছে সেসব মামলার। সব মামলায় যদি সু চি দোষী সাব্যস্ত হন, সেক্ষেত্রে তাকে কারাগারে কাটাতে হবে দেড়শো বছরেরও বেশি সময়। সু চি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।

এর আগে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানি দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং কোভিড-১৯ প্রোটোকল লঙ্ঘনের মাধ্যমে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভাঙার দায়ে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন দেশটির একটি আদালত। সরকারের শীর্ষ পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১১ মাসের মাথায় তার বিরুদ্ধে দেওয়া প্রথম কোনো রায় ছিল সেটি।

তবে সু চির বিরুদ্ধে এই রায়ের পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সেসময় আদালত সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মুখে পরে সেটি দুই বছর কমিয়ে দেয় জান্তা সরকার।

এরপর অবৈধ ওয়াকিটকি রাখাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখে অং সান সু চিকে আরও চার বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত তিনি ৬ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন।


আরো খবর: