চট্টগ্রাম, ১১ আগস্ট – জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম মহানগর শাখার নতুন কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে আবারও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। বন্দরকেন্দ্রিক আন্দোলন দমাতে ৫ লাখ টাকা চাওয়ার অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও। এতে আন্দোলন বন্ধের বিনিময়ে টাকা নিতে পরামর্শ দিতে শোনা যায় তাকে।
এর আগেও বড় অঙ্কের চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তিনি।
নিজাম উদ্দিন দাবি করেছেন, এটি পুরোনো ভিডিও।
এনসিপি নেতারা জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা চাইবেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম নগর শাখার সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব রাহাদুল ইসলাম লেখেন, সাইফপাওয়ার টেকবিরোধী আন্দোলন দমন করতে গিয়ে নিজাম উদ্দিন ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, এটা শুধু দুর্নীতিই নয়, এটি ছাত্র ও জনতার বিশ্বাসের সঙ্গে সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা।
জবাবে নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘আন্দোলন বন্ধ করাব। তোমারে দিছে, টাকা দিছে?’
এ পাশ থেকে ‘হ্যাঁ’ জবাব দেন আফতাব।
কত লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে আফতাব বলেন ‘পাঁচ’।
এরপর নিজাম উদ্দিনকে বলতে শোনা যায় ‘আরও বেশি নিতা প্রেশার দিয়ে, তোমরা দেখো ওর থেকে আরও পাঁচ লাখ নিতে পারো কি না, নিতে পারলে ওদেরকে আমি এনে, রোহান, মীরদেরকে এসে কিছু দিয়ে দিলাম।’
এনসিপি চট্টগ্রাম নগরের প্রধান সমন্বয়কারী মীর আরশাদুল হক বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের থেকে তাকে একবার বহিষ্কার করা হয়েছিল। জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় তার পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখন যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, আমরা তার কাছে ব্যাখ্যা চাইব।
এর আগে গত ৫ জুলাই নিজামের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন রিয়াজুল জান্নাত নামের এক নারী।
চিঠিতে ওই নারী উল্লেখ করেন, দুই কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে তার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় পুলিশে দিয়েছেন নিজাম উদ্দিন। এরপর নিজামকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে কিছুদিন তাকে আবার দলে ভেড়ানো হয়েছে। সবশেষ ৯ আগস্ট এনসিপির চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির ঘোষণা করেন দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। ৩২ সদস্যের ওই কমিটিতে নিজামকে যুগ্ম সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ১১ আগস্ট ২০২৫