পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়া এলাকায় সাপেরগাড়ার জসিম উদ্দিন হত্যা মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিদের আসামি করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানোর অভিযোগে এলাকাবাসী বুধবার বিকেল পাঁচটায় সাপের গাড়া জামে মসজিদের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও স্থানীয় সচেতন নাগরিকরাও এতে উপস্থিত থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মানববন্ধনে স্থানীয় নারী মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেন, ‘গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময়কার চাঞ্চল্যকর আব্দুল কাদের হত্যা মামলার আসামি কাসিমের ছেলে আব্দু রাজ্জাক গত এক বছর ধরে আমাদের এলাকায় অবস্থান করছে। সে মৃত জসিম উদ্দিনের স্ত্রী সেলিনা আকতারের (বর্তমান মামলার বাদী) সঙ্গে অবৈধ ও অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।’
তিনি বলেন, ‘হত্যার এক সপ্তাহ আগে জসিম উদ্দিন নিজ বাড়িতে তাদের অনৈতিক কার্যকলাপ হাতেনাতে দেখে ফেলেন এবং তাদের ধমক দেন। তখন রাজ্জাক হুমকি দিয়ে বলে, ‘তোরে দেখে নিব।’ এর ঠিক এক সপ্তাহের মধ্যেই জসিম উদ্দিনকে হত্যা করা হয়।’
গোয়েন্দা তদন্ত দাবি এলাকাবাসীর #
মানব বন্ধনে এলাকাবাসী জানান, জসিম উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য অবিলম্বে সেলিনা আকতার ও রাজ্জাককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, ঘটনার মূল নেপথ্যে রয়েছে এই দু’জনের অবৈধ সম্পর্ক এবং তাদের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া দ্বন্দ্ব।
নিরপরাধদের মুক্তির জোর দাবি
মানববন্ধনে বক্তারা মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া মো. জকিরুল ইসলাম ও মনসুর আলমকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান। তাদের অভিযোগ, “জকিরুল ইসলাম ও মনছুর নির্দোষ। রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত স্বার্থে তাদের এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
জকিরুল ইসলাম ও মনছুর আলমকে গ্রেপ্তার করায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন, প্রকৃত খুনিরা ধরা না পড়লে বিচার বিঘ্নিত হবে এবং এলাকায় অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যাবে।
এলাকাবাসীর জোর দাবি
মানববন্ধনে এলাকাবাসী দাবি করেন, ‘অবিলম্বে প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতার করে, মিথ্যা মামলায় জড়ানো নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে হবে। না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।’
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক নেজাম উদ্দিন, মো. আসিফ, আল সেহেরী, আয়েশা বেগম, গ্রেপ্তার জকিরুল ইসলামের মা আলম শাইর, জকিরুল ইসলামের ভাই নজরুল ইসলাম, মেয়ে নাজমা বেগম, গ্রেপ্তার মনছুরের মা খালেদা বেগম, স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম, মোছাম্মৎ কমরুন্নেছা, তছলিমা বেগম, মোহাম্মদ পারভেজ ও মোহাম্মদ ইসমাইল প্রমুখ। ##