শিরোনাম ::
একটি স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা এই রাষ্ট্র আমাদের দেয়নি গাজীপুরে শেখ রেহানার স্বামী ও ছেলের ৩৫৪ শতাংশ জমি জব্দের আদেশ বাংলাদেশের স্বার্থে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশন চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চূড়ান্ত শুল্ক আলোচনা ২৯ জুলাই থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে উত্তেজনা, বাংলাদেশিদের দূতাবাসের সতর্কবার্তা টানা দু দফা বাড়ার পর এবার দেশের বাজারে কমলো সোনার দাম ‘আমার পাড়া, আমার সমাধান’ নামে নতুন প্রকল্প ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা হোয়াইটওয়াশ হাতছাড়া বাংলাদেশের, সম্মান বাঁচল পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির আলোচনাকারী দলকে ফিরিয়ে এনেছে দখলদার ইসরায়েল গণ-অভ্যুত্থানের আগের ১৫ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসে নিহতদের তালিকা প্রস্তুতির নির্দেশ
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

মহেশখালীর অদূরে বঙ্গোপসাগরে ইঞ্জিন বিকল অবস্থায় ভেসে থাকা ১৮ জন জেলে উদ্ধার

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫

গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের,মহেশখালী::

মহেশখালীর অদূরে গভীর সমুদ্রে ইঞ্জিন বিকল হয়ে চার দিন ভেসে থাকা ‘হাবিবা’ নামক একটি মাছ ধরার ট্রলার ও বিপদগ্রস্থ ১৮ জেলেকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নৌবাহিনী যুদ্ধ জাহাজ ‘শহীদ ফরিদ’ নিয়মিত টহলে থাকা অবস্থায় মহেশখালী হতে ২৫ মাইল পশ্চিমে একটি মাছ ধরার ট্রলার ভাসমান অবস্থায় খুজে পায়।

এ সময় ট্রলারে অবস্থানরত জেলেরা নৌবাহিনীর জাহাজটিকে দেখতে পেয়ে বিপদ সংকেত প্রদর্শন করতে থাকে যা নৌবাহিনীর নিকট সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় শীঘ্রই জাহাজটি বিপদগ্রস্ত ট্রলারের নিকট ছুটে যায়। ট্রলারটির নিকট পৌঁছানোর পর নৌ সদস্যরা মাঝিদের কাছ থেকে অবগত হন যে, তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় বিগত ০৪ দিন যাবৎ তারা গভীর সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে।

তাদের কাছে অবশিষ্ট খাবার ও বিশুদ্ধ পানি শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের করুণ অবস্থা পরিলক্ষিত করে নৌ সদস্যরা জরুরি ভিত্তিতে তাদের খাবার ও বিশুদ্ধ পানি প্রদান করেন। পরবর্তীতে নৌবাহিনীর সদস্যগণ জেলেসহ ট্রলারটিকে উক্ত স্থান হতে নিরাপদে কুতুবদিয়া এলাকায় পৌঁছে দেয়।

এ সময় তাদের প্রয়োজনীয় পানি ও খাবার ছাড়াও জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। ট্রলারে থাকা ১৮ জন জেলেই বর্তমানে সুস্থ আছেন। অসহায় জেলেরা তাদের জীবন রক্ষা করার জন্য এবং তাদেরকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য নৌবাহিনীর কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নৌ সদস্যরা জানতে পারেন যে, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটি ভোলা জেলার মনপুরা এলাকা হতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে সমুদ্রে গমন করে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা, ব্লু-ইকোনমি সংরক্ষণ, চোরাচালান প্রতিরোধ ও জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত একাধিক যুদ্ধজাহাজ নিয়োজিতকরণের মাধ্যমে সমগ্র বঙ্গোপসাগরে ও উপকূলীয় এলাকায় দিনরাত টহল পরিচালনা করছে যা ভবিষ্যতেও অব্যহত থাকবে।


আরো খবর: