শিরোনাম ::
বাংলাদেশে চীনের জরুরি চিকিৎসা-সামগ্রী হস্তান্তর “বাবা আমি ভুল করিনি, সুইসাইড নোটে লিখে আত্মহত্যা করলো নবম শ্রেণির ছাত্র! গ্রিসে ঘুরতে আসা ইসরায়েলির কান ছিঁড়ে ফেললেন সিরীয় নাগরিক সিঙ্গাপুরের ব্যস্ত সড়কে হঠাৎই দেবে গেল রাস্তা, চলন্ত গাড়ি পড়লো গর্তে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তে দগ্ধদের দেখতে গেলেন প্রধান উপদেষ্টা দেশের তরুণ সমাজই ডিজিটাল রূপান্তরের প্রধান চালিকাশক্তি সাবেক এমপির বাসায় গিয়ে সমন্বয়ক পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি, আটক ৫ চকরিয়ায় দিনেদুপুরে গরীব পরিবারের উপর ফিল্মিস্টাইলে সন্ত্রাসী হামলা, মা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম মাসিক ভাতার পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধারা আরও যেসব সুবিধা পাবেন চকরিয়ায় পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীকে ধর্ষণ,আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি আসামীর
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

রক্তক্ষয়ী সংঘাতে থাই-কম্বোডিয়া, নিরাপদ আশ্রয়ে এলাকা ছাড়ছেন বেসামরিক নাগরিকগন

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫


ব্যাংকক, ২৫ জুলাই – কম্বোডিয়ার সঙ্গে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সীমান্ত সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত এক লাখের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য এলাকা ছেড়েছেন। শুক্রবার (২৫ জুলাই) থাই কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। তাছাড়া সংঘর্ষে দেশটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ১৩ জনই বেসামরিক ও এক জন সেনা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে চলা সীমান্ত বিরোধ বৃহস্পতিবার ভয়াবহ সংঘর্ষে রূপ নেয়, যেখানে যুদ্ধবিমান, কামান, ট্যাংক ও স্থলসেনা মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ শুক্রবার জরুরি বৈঠক ডেকেছে।

থাইল্যান্ডের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সীমান্তবর্তী চারটি প্রদেশ থেকে এক লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে ৩০০-র বেশি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।

সীমান্ত থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাম্বোডিয়ার সামরোং শহরে শুক্রবার সকালে গোলাবর্ষণের শব্দ শুনেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা প্রো বাক (৪১) বলেন, আমি সীমান্তের খুব কাছে থাকি। সকাল ৬টার দিকে আবার গুলি শুরু হলে আমরা খুব ভয় পেয়ে যাই।

অন্যদিকে কম্বোডিয়ার একটি প্রাদেশিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সীমান্ত সংঘর্ষে অন্তত এক জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন।

অদ্দার মিনচি প্রদেশের বানতেয় আমপিল জেলার প্রায় এক হাজার ৫০০ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের মুখপাত্র মেথ মিয়াস ফিয়াকদে।

দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ দীর্ঘদিনের হলেও, এবারকার সংঘর্ষ অত্যন্ত তীব্র এবং বেসামরিক জনগণের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।

আন্তর্জাতিক মহল সংঘর্ষ বন্ধে আহ্বান জানাচ্ছে, তবে পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত থাকায় সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।



আরো খবর: