কক্সবাজারের রামুর রশিদনগরে ট্রেনের ধাক্কায় একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশার চালকসহ চারজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর ট্রেনটি গন্তব্যে পৌঁছে গেলেও, অপর একটি ট্রেনকে ঘটনাস্থলে আটকে রেখেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
শনিবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের দিকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের একটি ট্রেন রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের ধলিরছড়া রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৈয়বুর রহমান।
নিহতরা হলেন— ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব গোমাতলী এলাকার নাজির হোসেনের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার (৪৫), তার এক শিশু কন্যা এবং অটোরিকশা চালক হাবিব উল্লাহ। নিহত অপর নারীর পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে তিনিও একই পরিবারের সদস্য।
রশিদনগর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মাসুম বলেন, “দুপুরে কক্সবাজার আইনিক রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন ধলিরছড়া রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় ভারুয়াখালীমুখী একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশা রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ট্রেনটি ধাক্কা দিয়ে অটোরিকশাটি প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়।”
তিনি আরও জানান, “ঘটনাস্থলেই চালক ও শিশুসহ চারজন নিহত হন। দুর্ঘটনার পর ট্রেনটি দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।”
এদিকে, ঘটনার পরপরই চট্টগ্রাম দিক থেকে আসা কক্সবাজারমুখী সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা রেলক্রসিং এলাকায় আটকে রাখে।
আব্দুল মালেক মাসুম আরও বলেন, “নিহতদের মরদেহ এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।”
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী জানান, “নিহত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আটকে রাখা ট্রেনটির সামনে অবস্থান নেওয়া উত্তেজিত জনতাকে সরাতে চেষ্টা করছে পুলিশ।”