চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের রক্ষাকবচ বদরখালী মহেশখালী চ্যানেলে সদ্য সৃজিত ম্যানগ্রোভ বনায়ন পরিদর্শনে এসেছেন নেপাল-ফিলিপাইন-পাকিস্তান-পূর্বতিমুরের পাঁচ সদস্যের একটি যুবপ্রতিনিধি টিম।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল দশটার দিকে চার বিদেশি রাস্ট্রের পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধি টিমের সদস্যরা চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় জনপদ বদরখালীতে পৌঁছে। এরপর ৫ সদস্যের যুব প্রতিনিধিদলটি বদরখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন দুর্যোগপ্রবণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এসময় বিদেশি এই পরিদর্শন টিমের সামনে সমুদ্র চ্যানেল লাগোয়া বদরখালী মহেশখালী উপজেলার
জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতির নানা দিক তুলে ধরে ধারণা দেন কোডেকের বিডফরসিজে প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. সোহরাব হোছাইন এবং বদরখালী ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক মহি উদ্দিন কাদের অদুল। এসময় বদরখালী ইউনিয়নের দুর্যোগপ্রবণ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে বিদেশি পরিবেশবাদী সংগঠনের এই প্রতিনিধি টিমের সদস্যরা সম্প্রতি সময়ে চকরিয়া উপজেলার বদরখালীতে অস্ট্রেলিয়ান এইড ও অক্সফামের অর্থায়নে কোডেকের বিডফরসিজে প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। এরইমধ্যে মহেশখালী চ্যানেলের বদরখালী পয়েন্টে নবসৃষ্ট ম্যানগ্রোভ বনায়ন, বদরখালী
ফুলতলা থেকে ফিসারিঘাট রোডে সড়ক বনায়ন, ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজে সৃষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক বনায়ন এবং সংলগ্ন বাড়িতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও ব্যবহার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
বদরখালী ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক
মহি উদ্দিন কাদের অদুল বলেন, বিদেশি প্রতিনিধি টিমের সদস্যরা মাঠপর্যায়ের পরিদর্শন শেষে একইদিন দুপুরে ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে
জলবায়ু পরিবর্তন এবং ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ১৯৯১ সালে বদরখালীর বিভিন্ন সাইক্লোনে স্বজনহারা মানুষের কান্নায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।