চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে একটি গরীব পরিবারের উপর দিনেদুপুরে ফিল্মিস্টাইলে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় হামলাকারী সন্ত্রাসীরা পরিবারটির গৃহকর্ত্রী ও তাঁর ছেলেকে কুপিয়ে জখম করেছে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে, বাড়িভিটা দখলের চেষ্টায় বাধা দেওয়ায় তাদের উপর হামলা চালিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়েছে। এসময় বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পাড়া এলাকায় ঘটেছে এ হামলার ঘটনা। গতকাল শনিবার সকালে হামলার ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জনসম্মুখে জানাজানি হয়।
হামলায় আহতরা হলেন, ওই এলাকার ছৈয়দ আলমের স্ত্রী আয়েশা বেগম ও তার ছেলে নুর মোহাম্মদ।
হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আক্রান্ত পরিবারের নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে একই এলাকার মৃত নুর আহমদের ছেলে আবু তাহের এবং তার দুই ছেলে জামাল ও জমিরসহ ৯ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সামাজিকে যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, আবু তাহের ও তার দুই ছেলেসহ কিছু লোক একটি মহিলাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করছে। পরক্ষণে মহিলাটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
আহত নুর মোহাম্মদ বলেন, ৬০ বছর ধরে আমরা আমাদের বসতভিটা করে বাস করে আসছি। কিছুদিন আগে জনৈক জেবুন্নাহার জমিটিতে তাদের কিছু জায়গা আছে বলে দাবি করেন। পরে আমরা ওই অংশের জমি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের কাছ থেকে কিনে নিই।
কিন্তু ওই জমি পার্শ্ববর্তী আবু তাহের ক্রয় করেছে দাবি করে বারবার জবরদখলের হুমকি দেয়। এরই জেরধরে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জবরদখলের চেষ্টা করে। ওই সময় স্থানীয় ইউপি সদস্যকে সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপের কথা বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
একপর্যায়ে তাঁরা আমাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে। ওইসময় আমি তাদের মারমুখী আচরণ দেখে ভয়ে বাড়ি চলে যাই। পরে সন্ত্রাসীরা আমাকে বাড়ির ভেতর থেকে বের করে মারতে থাকে। এ সময় আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আমার মা আয়েশা বেগমকেএ মারধর করে।
তার মাথায় কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে ও আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আমাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনার ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে পুলিশের একটি টিমকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##