কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভাড়া বাসায় চুরি করতে ঢুকে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীকে ধর্ষণের বিষয়টি আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতারকৃত আসামী আবুল কালাম ওরফে পারভেজ।
দুটি মামলায় পুলিশ ওই আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) আদালতে হাজির করে। এসময় আসামি পারভেজ ওই নারীকে ছুরি মেরে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে আদালতের কাছে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। গতকাল শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার আদালতে জবানবন্দিতে আসামি পারভেজ জানায়- গত ১৫ জুলাই দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাঁরা তিনজন চকরিয়া পৌরসভার চিংড়ি চত্বর গলির মুখে উপস্থিত হয়। এরপর পোশাক পরিবর্তন করে পারভেজ পাশের সিকদার পাড়ার দিকে যায়। অন্য দুইজন আলাদাভাবে চুরি করতে যায়। পারভেজ যে বাসায় চুরি করতে ঢুকে ওই বাসার জানালা খোলা ছিল। উঁকি মেরে দেখে, দুটি বাচ্চা নিয়ে এক মহিলা ঘরের মেঝেতে ঘুমাচ্ছে।
এরপর একটি বাঁশের মাথায় প্লাস্টিক দিয়ে ছোট একটি কাঠের ডাল বেঁধে দরজার ছিটকিনি খুলে ফেলে বাসায় ঢুকে একটি বাটন ফোন, এনড্রয়েড ফোন ও ২ হাজার ৭’শ টাকা নিয়ে নেয়।
বাসায় চুরি করার সময় গৃহকর্ত্রী পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী
বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। হঠাৎ ওই মহিলা ঘুম ভেঙে চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করে। পারভেজ তাকে ছুরির ভয় দেখিয়ে চিৎকার দিতে নিষেধ করে। পরে ওই মহিলাকে রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করে পারভেজ।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ভিকটিমের স্বামী পুলিশ সদস্য বাদি ঘটনার পরদিন চকরিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করেন। এরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক আবুল কালাম ওরফে পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আনোয়ারুল কবির দুটি মামলায় আসামি পারভেজকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বৃহস্পতিবার রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হলে আসামি পারভেজ ওই নারীকে ধর্ষণ করার কথা আদালতের কাছে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ##