শিরোনাম ::
পেকুয়ায় বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা এমএসএফ হাসপাতাল সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা : মানবিক উদ্যোগ নাকি নতুন সংকটের সূচনা? উখিয়ায় ১০ ফুট লম্বা বার্মিজ অজগর উদ্ধার বর্তমান সংবিধানের ভিত্তিতে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না এনসিপি রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষিমার্কেট পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আগামী পাঁচদিনের মধ্যে বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা টেকনাফে আওয়ামী লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার সৌন্দর্যের ঋতু শরতের প্রথম দিন আজ নাইক্ষ্যংছড়িতে ২০ হাজার পিস ইয়াবা সহ গ্রেপ্তার-১ রাজশাহীতে কোচিং সেন্টার থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার
August 16, 2025, 5:07 pm
নোটিশ::
আমাদের নতুন ডোমেইনে আপনাকে স্বাগতম, কক্সবাজার পোস্ট ডটকমের জনপ্রিয়তাকে পুজিঁ করে অনেক নতুন ফেইসবুক পেইজ খোলা হয়েছে,তাদের কার্যকলাপের জন্য আমরা দায়ী নয়  

পেকুয়ায় বিয়ের প্রলোভনে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া ::
আপডেট: শুক্রবার, আগস্ট ১৫, ২০২৫

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড নতুনঘোনা এলাকায় বিয়ের প্রলোভনে এক বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটে সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে। পরে বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে ভিকটিমকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

ভিকটিমের পরিবার জানায়, প্রতিবেশী নুরুল হুদার ছেলে আরিফুল ইসলামের সঙ্গে ইমুর মাধ্যমে পরিচয় হয় ভিকটিমের। সোমবার রাত ১১টার দিকে আরিফ ভিকটিমের বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। চিৎকার শুনে ভিকটিমের পিতা-মাতা এসে দরজা ভেঙে অভিযুক্তকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে স্থানীয়রা জড়ো হলে সমাজ পরিচালনা কমিটির সর্দার রফিক আলম বিচার করার আশ্বাস দিয়ে আরিফকে তার জিম্মায় নেন।

ভিকটিমের পিতা বাদশাহ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, সর্দার রফিক আলম পরদিন সকালে বিচারের কথা বলে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন এবং জানান, আরিফ পালিয়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, সর্দার ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্ষককে পালাতে সহায়তা করেছেন। আমার তিন মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী। আমি মেয়ে ধর্ষণের ন্যায্য বিচার চাই, মামলা করব বলেন জানান বাদশাহ মিয়া।

এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসাইন শহিদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমি মঙ্গলবার বিষয়টি শুনেছি এবং ভিকটিমের পরিবারকে থানার সহযোগিতা নিতে বলেছি।

অভিযুক্ত আরিফুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

সমাজ পরিচালনা কমিটির সর্দার রফিক আলম দাবি করেন, দুপক্ষের সম্মতিতে বৈঠক হয়েছিল, কিন্তু ভিকটিমের পরিবার পরে সরে আসে। আরিফকে আমার জিম্মায় নেয়নি। সিরাজুল ইসলাম নামে মেয়ের দাদা আরিফকে ঘটনার দিন রাতে ছেড়ে দিয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনা স্থানীয়ভাবে মিমাংস করা যায় কীনা জানতে চাইলে রফিক আলম বলেন, এধরণের অনেক ঘটনা আমরা স্থানীয়ভাবে আগেও নিষ্পত্তি করেছি। পরে যোগাযোগ করব বলে মোবাইলের সংযোগ কেটে দেন।

পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, এধরনের ঘটনা আমি প্রথমবার শুনলাম। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর: