নয়াদিল্লি, ২৫ জুলাই – ভারতের উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গাজিয়াবাদ থেকে ভুয়া দূতাবাস চালানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম হর্ষবর্ধন জৈন (৪৮)। তিনি গাজিয়াবাদে একটা বাড়ি ভাড়া করে সেখানে ভুয়া দূতাবাস পরিচালনা করছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওয়েস্টার্কটিকা, সাবোরগা, পলভিয়া এবং লোডোনিয়ার মতো তথাকথিত ‘দেশের’ কনসাল বা রাষ্ট্রদূত বলে পরিচয় দিয়ে মানুষকে প্রতারণা করতেন বলে জানানো হয়েছে। মূলত দেশ হিসেবে এগুলোর স্বীকৃতি নেই।
এসটিএফ-এর নয়ডা ইউনিটের এসএসপি সুশীল ঘুলে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ওই ব্যক্তি ওয়েস্টার্কটিকা, সাবোরগা, পলভিয়া, লোডোনিয়া এবং আরও কয়েকটা তথাকথিত দেশের দূত সেজে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করত। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে অনেক আপত্তিকর সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। যে সমস্ত গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে কূটনীতিকদের ব্যবহার করা গাড়ির নম্বর প্লেটের অনুকরণে তৈরি নম্বর প্লেট লাগানো ছিল। এতে কোনো অনুমোদিত সংস্থার স্বীকৃতি ছিল না।’
পুলিশ জানিয়েছে হর্ষবর্ধন জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, বিদেশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন তিনি। তাছাড়া ভুয়া শেল কোম্পানির মাধ্যমে হাওয়ালা (অর্থ স্থানান্তরের একটি পদ্ধতি) চক্র চালাত বলেও জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে সন্দেহজনক ও ভুয়া সামগ্রী উদ্ধার করেছে এসটিএফ। এই তালিকায় কূটনৈতিকদের অনুকরণে তৈরি ভুয়া নম্বর প্লেট লাগানো চারটি গাড়ি ছিল। এছাড়া গাড়িতে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে তৈরি অতিরিক্ত ১৮টি ভুয়া নম্বরপ্লেটও ছিল।
১২টি অবৈধ পাসপোর্ট, দুটি ভুয়া প্যান কার্ড এবং ৩৪টা দেশ ও কোম্পানির জাল সিলমোহর, দুটি প্রেস কার্ড, নগদ ৪৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা এবং কোম্পানি সম্পর্কিত নথিও উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র: আরটিভি নিউজ
এনএন/ ২৫ জুলাই ২০২৫