রামুতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি জন্মাষ্টমী উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শনিবার, ১৬ আগস্ট সকালে রামু সর্বজনীন কেন্দ্রীয় কালী মন্দির থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে রামু সর্বজনীন কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরে ধর্মীয় আলোচনা সভায় আয়োজন করা হয়।
শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ রামু উপজেলা শাখার সভাপতি মাস্টার অনিল শর্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রতন।
সহ সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত পাল বাচ্চুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভার উদ্বোধক ছিলেন- রামু সর্বজনীন কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সজল ব্রাক্ষ্মন চৌধুরী। এতে পবিত্র গীতা পাঠ করেন- পুরোহিত সুবীর ব্রাক্ষ্মন চৌধুরী।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- রামু সর্বজনীন কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের উপদেষ্টা ডা. দুলাল চন্দ্র পাল, ননী গোপাল দেবনাথ, সভাপতি রতন মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাশগুপ্ত, সাবেক ইউপি সদস্য অপূর্ব পাল, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি স্বদীপ শর্মা, রামকুট তীর্থধাম পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বিজয় ধর, সাধারণ সম্পাদক রণতোষ দত্ত, রিপন ধর, ডা. সমর বিন্দু ধর, রামু উপজেলা সৎসঙ্গের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ ভট্ট্রাচার্য্য, শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি উত্তম দেওয়ানজী প্রমূখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন- ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল। তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ ও ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। দুষ্টের দমন করতে এভাবেই যুগে যুগে ভগবান মানুষের কাছে নেমে আসেন এবং সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করেন।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি মাস্টার অনিল শর্মা ও সাধারণ সম্পাদক রতন দেওয়ানজী জানিয়েছেন- উৎসব-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্বীর্যে দিন পালনে শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ রামু উপজেলা শাখা দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও ধর্মীয় আলোচনা সভা ছাড়াও দিনের অন্যান্য কর্মসুচির মধ্যে ছিলো গীতা পাঠ ও কুইজ প্রতিযোগিতা, শ্রী শ্রী কৃষ্ণের ভোগরাগ, মহাপ্রসাদ আস্বাদন, সন্ধ্যারতি, শ্রী শ্রী কৃষ্ণপূজা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সনাতন সম্প্রদায়ের শত শত নারী-পুরুষ এসব আয়োজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। পুরো আয়োজন নির্বিঘ্ন রাখতে সক্রিয় ছিলো রামু থানা পুলিশ, সেনা সদস্যরা।