কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড নতুনঘোনা এলাকায় বিয়ের প্রলোভনে এক বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে। শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগীর পিতা বাদশাহ মিয়া বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন, নতুনঘোনা এলাকার নুরুল হুদার পুত্র আরিফুল ইসলাম (২২) ও মৃত চাঁন মিয়ার পুত্র রফিক আলম (৫৫)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে আরিফুল ইসলাম কৌশলে বাদীর বাড়িতে ঢুকে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরদিন (১৩ আগস্ট) সকালে ভুক্তভোগীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
বাদী বাদশাহ মিয়া অভিযোগ করেন, ধর্ষণের পর তাঁর পরিবারের চিৎকার শুনে তিনি ও তাঁর স্ত্রী ছুটে গিয়ে দরজা ভেঙে আরিফকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে স্থানীয়রা জড়ো হলে সমাজ পরিচালনা কমিটির সর্দার রফিক আলম বিচারের আশ্বাস দিয়ে আরিফকে তাঁর জিম্মায় নেন। পরদিন সকালে বিচার করার কথা বলে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন এবং দাবি করেন, আরিফ পালিয়ে গেছে। বাদশাহ মিয়ার অভিযোগ, রফিক ইচ্ছাকৃতভাবে আসামিকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন।
পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উগ্যজাই মারমা বলেন, শুক্রবার রাতে দুজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
অভিযুক্ত সর্দার রফিক আলম দাবি করেন, এ ঘটনা দুপক্ষের সম্মতিতে মীমাংসার জন্য বৈঠক হয়েছিল, তবে ভিকটিমের পরিবার পরে সরে আসে। আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
###