শিরোনাম ::
জুলাইয়ের শহীদ ও আহতদের উপহার নতুন বাংলাদেশ বাংলাদেশে নিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিচার নিয়ে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক চট্টগ্রাম নগরের সৌন্দর্য রক্ষায় কঠোর অবস্থানে চসিক মেয়র এবার মিসর-জর্ডানের একাংশকে নিয়ে বৃহৎ ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করতে চান নেতানিয়াহু চকরিয়ায় যাত্রীবাহী স্টারলাইন বাস ও মালবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ : চালক আহত পেকুয়ায় জসিম হত্যা মামলায় জড়িত প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন আগস্টের ১২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এলো ১০৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার উখিয়ায় ইয়াবাসহ রামুর যুবক আটক কুয়েতে বিষাক্ত মদ্যপানের কারণে ১০ প্রবাসীর মৃত্যু, কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ আবাসন সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করছে ডিএনসিসি
August 13, 2025, 11:52 pm
নোটিশ::
আমাদের নতুন ডোমেইনে আপনাকে স্বাগতম, কক্সবাজার পোস্ট ডটকমের জনপ্রিয়তাকে পুজিঁ করে অনেক নতুন ফেইসবুক পেইজ খোলা হয়েছে,তাদের কার্যকলাপের জন্য আমরা দায়ী নয়  

কাজ শেষ না হতেই কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা,দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সকে চিঠি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, আগস্ট ১৩, ২০২৫

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা করেছে সরকার। আগামী ২ অক্টোবর থেকে এ বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিমানবন্দরটির গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ এখনও বাকি। সঙ্গত কারণেই ঘোষিত সময়ে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, বিমানবন্দরটির টার্মিনাল ভবনের সব কাজ এখনও শেষ হয়নি। প্যাসেঞ্জার অ্যারাইভাল ও ডিপারচার লাউঞ্জ, ডিপারচার কনভেয়ার বেল্ট, ইমিগ্রেশন কাউন্টারের কাজ শেষ হয়নি। তবে রানওয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত আছে। এসব কাজ করতে দুই মাসের বেশি লাগার কথা না। তবে যে গতিতে কাজ চলছে, তাতে বেবিচক নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়া কঠিন। এ ছাড়া এয়ারলাইন্সগুলোর প্রস্তুতি এবং সøটের একটি বিষয়ও রয়ে গেছে। যথাসময়ে এসব বিষয়ের সমাধান হলে এ বিমানবন্দর দিয়ে যথাসময়ে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু করতে পারবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করছেন।

বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্র জানায়, কিছু কাজ বাকি আছে, যা আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। ২ অক্টোবর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনায় এয়ারলাইন্সগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বেবিচক বোর্ড সদস্য (এটিএম) গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. নুর-ই-আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে দেশের দুই শীর্ষস্থানীয় বেসামরিক এয়ারলাইন্স- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ করা হয়েছে। তারা কোন ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে এবং কোন গন্তব্যে ফ্লাইট চালু করবে, তা লিখিতভাবে জানাতে। বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকেও একই চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেবিচক সদস্য (অপারেশন অ্যান্ড প্ল্যানিং) এয়ার কমোডর আবু সাঈদ মাহবুব খান বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরে আমাদের প্রস্তুতির কাজ চলছে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর এ কাজ শেষ হয়ে যাবে। নিয়ম অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরুর আগেই আইকাও কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয়। দাপ্তরিকভাবে তা জানানোও হয়েছে। সব প্রস্তুতি নিচ্ছি। এয়ারলাইন্সগুলোকে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের ফিরতি চিঠি এখনও পাইনি। সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রস্তুত হয়ে যাব।

নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করতে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির (আইকাও) কিছু গাইডলাইন মানতে হয়। বাংলাদেশ সরকার সেই গাইডলাইন মেনেই কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করেছে। এর ফলে আগামী ২ অক্টোবর থেকে সরকার এ বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে। এ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে গত ৭ আগস্ট আইকাও কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে বেবিচক।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এ ঘোষণা দেশের বিমান খাত ও পর্যটন শিল্পের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের শহর কক্সবাজারের এই বিমানবন্দরে সাগরের জলরাশি ছুঁয়ে ওঠানামা করবে প্রতিটি উড়োজাহাজ। সরাসরি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি কক্সবাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার অর্থনীতি, হোটেল-মোটেল ব্যবসা, রিসোর্ট ও পরিবহন খাতেও নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু হলে কক্সবাজারে শুধু অবকাশযাপন নয়, আন্তর্জাতিক সম্মেলন, করপোরেট ইভেন্ট ও বৃহৎ পরিসরের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আয়োজনও সহজ হবে। এতে স্থানীয় কর্মসংস্থানের সুযোগও ব্যাপক হারে বাড়বে।

২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মেয়াদে কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়নকাজ শুরু হয়। এরপর ২০১৫ সালে যোগ হয় আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার নতুন ধাপ। ভৌগোলিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় কক্সবাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। এ জন্য সাগরপাড়ের এ বিমানবন্দরকে পর্যটক ছাড়াও যে কোনো ফ্লাইটের রি-ফুয়েলিংয়ের জন্য টেকনিক্যাল ল্যান্ডিংয়ের লক্ষ্যে আঞ্চলিক হাব হিসেবে গড়ে তুলতে চায় সরকার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর: