কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার আলোচিত শিক্ষক রুহুল কাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে চলমান ১৪টি মামলার মধ্যে একটিতে জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় বুধবার (৩০ জুলাই) চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ারুল কবীর তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
রুহুল কাদের পেকুয়ার শিলখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পেঠান মাতবর পাড়ার বাসিন্দা এবং পেকুয়া আনোয়ারুল উলুম আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত এবং একাধিক মামলার আসামি।
সম্প্রতি ১৩ জুন রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে শিলখালী ইউনিয়নের পেঠান মাতবর পাড়ার বটতলা সংলগ্ন চলাচল রাস্তায় শওকত আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত শওকতের বড় বোন হাছিনা বেগম বাদী হয়ে ১৭ জুলাই পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং- ১১/২৫), যেখানে রুহুল কাদেরসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়। শওকত আলী ওই এলাকার মৃত মৌলভী শফিউল আলমের পুত্র।
মামলার বাদী হাছিনা বেগম বলেন, ঘটনার দিন রাতে আমার ভাই বাড়ি থেকে বের হয়ে বটতলা স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। এসময় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ওৎপেতে থাকা একই এলাকার রুহুল কাদের, মহিউদ্দিন, তার ভাই ইব্রাহিম, শাহাব উদ্দিন, আব্বাস উদ্দিন, জাকরিয়া, ইব্রাহিমের পুত্র মিজান, তারেক ও মহিউদ্দিনের পুত্র মো. ছালেহ ও সায়েমসহ আরও কয়েকজন মিলে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে নিষ্টুরভাবে পিটিয়ে আহত করে। হামলাকারীরা আমার ভাইয়ের হাত ও পা ভেঙে দিয়েছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ওইদিন চিকিৎসক রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে তারা মামলা তুলে নিতে নিয়মিত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, শিক্ষক পরিচয়ের আড়ালে রুহুল কাদের এলাকায় প্রভাবশালী এক সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।তাঁর বিরুদ্ধে জিআর ১৬৪/১৮, জিআর ০৪/১৪, জিআর ০১/২৫, জিআর ১৪৭/২৫, জিআর ১১২/১২, জিআর ২৪/১৮, সিআর ৪৬/১২, সিআর ৪৬৩/১৮, সিআর ৫৫৬/২০, সিআর ৮১৬/২০, সিআর ৭৬২/২২, বন মামলা ৭৮/১৬ সহ ১৪টি মামলা চলমান রয়েছে। এসব মামলায় তিনি একাধিকবার কারাভোগও করেছেন।