ঢাকা, ০৩ আগস্ট – জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যে উপস্থাপন শুরু হয়ে চলছে।
রোববার (৩ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টার দিকে আদালতে শুনানি শুরু হয়। সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। সূচনা বক্তব্য শুরুতেই তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলসহ বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন।
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেলে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন চলছে। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানসহ প্রসিকিউশনের সদস্য ও তদন্ত সংস্থার সদস্যরা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত আছেন। আনুষ্ঠানিক সূচনা বক্তব্য বাংলাদেশ টেলিভিশন ও ট্রাইবুনালের (আইসিটি) ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে।
এদিকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রথম মামলাটি (মিস কেস বা বিবিধ মামলা) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।
মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ শাসনামলের সাড়ে ১৫ বছরে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।
সূত্র: জাগো নিউজ
এনএন/ ০৩ আগস্ট ২০২৫