বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব সালাহ উদ্দিন আহমদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন চকরিয়া উপজেলার চার ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানরা।
শনিবার (৯আগস্ট) রাত ৮টার দিকে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে সালাহ উদ্দিন আহমদ এর সঙ্গে তারা এ সৌজন্যে সাক্ষাত করেন।
সাক্ষাৎ দেওয়া চেয়ারম্যানরা হলেন, বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: ইসমাইল মানিক, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন শিপু, কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: শফিকুল ইসলাম ও পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরে সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের অধিকাংশ চেয়ারম্যান রাজনৈতিক ও বিভিন্ন মামলায় আসামি হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। যার প্রেক্ষিতে ইউনিয়নের নাগরিক মৌলিক সেবাসমূহ চরম ভাবে ব্যহত হয়ে পড়ে।
এতে করে চকরিয়া উপজেলায়ও ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান না থাকার সুবাদে নাগরিক সেবা কার্যক্রম সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে। কিন্তু অন্তবর্তী সরকার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যেসব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত রয়েছে সেই সব ইউনিয়নে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক প্রশাসক নিয়োগ করেন।
এরই আলোকে চকরিয়া উপজেলার বিএমচর, ডুলাহাজারা, কাকারা ও পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নে জেলা প্রশাসকের পরিপত্রের মাধ্যমে নাগরিক সেবা সুনিশ্চিত করার লক্ষে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পনের মধ্যদিয়ে স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানকে পরিষদ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়।
এসময় সালাহউদ্দিন আহমদ চকরিয়া উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত চার ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, মানুষের কল্যাণে এবং জনগণের ভোগান্তি দূরীকরণ ও শতভাগ মানুষের মাঝে মৌলিক সেবা নিশ্চিত করতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের যেসব সেবা কার্যক্রম রয়েছে তা দ্রুত স্বাভাবিক করতে হবে। পরিষদে নাগরিক সেবা নিতে গিয়ে একজন মানুষও যেন ভোগান্তির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যে সমস্ত রাস্তা-ঘাট ভেঙে গেছে, গর্ত হয়ে গেছে এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে তা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
সামনে যেহেতু জাতীয় নির্বাচন, তাই মানুষ যাতে নির্বিগ্নে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে এবং ভোট কেন্দ্রে যেতে মানুষের যেন অসুবিধা না হয় সেই ব্যাপারে মাথায় রাখতে হবে। দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হলেই সবকিছু নিয়মের মধ্যে চলে আসবে বলে জানান তিনি। গ্রামের কোন মানুষ যেন তার নাগরিক মৌলিক সেবা থেকে বিন্দু পরিমাণও বঞ্চিত না হয় সেই ব্যাপারে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।##