শিরোনাম ::
জুলাইয়ের শহীদ ও আহতদের উপহার নতুন বাংলাদেশ বাংলাদেশে নিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিচার নিয়ে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক চট্টগ্রাম নগরের সৌন্দর্য রক্ষায় কঠোর অবস্থানে চসিক মেয়র এবার মিসর-জর্ডানের একাংশকে নিয়ে বৃহৎ ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করতে চান নেতানিয়াহু চকরিয়ায় যাত্রীবাহী স্টারলাইন বাস ও মালবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ : চালক আহত পেকুয়ায় জসিম হত্যা মামলায় জড়িত প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন আগস্টের ১২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এলো ১০৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার উখিয়ায় ইয়াবাসহ রামুর যুবক আটক কুয়েতে বিষাক্ত মদ্যপানের কারণে ১০ প্রবাসীর মৃত্যু, কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ আবাসন সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করছে ডিএনসিসি
August 13, 2025, 11:54 pm
নোটিশ::
আমাদের নতুন ডোমেইনে আপনাকে স্বাগতম, কক্সবাজার পোস্ট ডটকমের জনপ্রিয়তাকে পুজিঁ করে অনেক নতুন ফেইসবুক পেইজ খোলা হয়েছে,তাদের কার্যকলাপের জন্য আমরা দায়ী নয়  

৫ আগস্ট পুলিশের পোশাকে থাকা লোকদের হিন্দি ভাষায় কথা বলতে শুনি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, আগস্ট ১৩, ২০২৫


ঢাকা, ১৩ আগস্ট – গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয়জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় পঞ্চম সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেওয়ার সময় শহীদ ইয়াকুবের চাচা শহীদ আহম্মেদ বলেন, ‘চানখাঁরপুল মোড়ে উল্টো পাশে অনেক পুলিশের সঙ্গে ছাপা পোশাকধারী পুলিশও ছিল। তখন পুলিশের পোশাকে থাকা লোকদের হিন্দি ভাষায় কথা বলতে শুনেছি। এমনকি তারা আমাদের বাধা দিচ্ছিল। একই সঙ্গে আমাদের লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়ে। তখন এক পুলিশ বলছিলেন ‘ইধার আও’।

এরপর মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২০ আগস্ট দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (১৩ আগস্ট) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী এই দিন ঠিক করেন।

ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মহিতুল হক এনাম চৌধুরী। আদালতে আজ সাক্ষ্য গ্রহণে সহযোগিতা করেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম। আর আসামিপক্ষে জেরা করেন ব্যারিস্টার সাদ্দাম হোসেন অভি।

জবানবন্দিতে ইয়াকুবের চাচা শহীদ আহম্মেদ বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমি, আমার ভাতিজা ইয়াকুব, আমার ছেলে সালমান, এলাকার রাসেল, সুমন, সোহেলসহ আরও অনেকে গণভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। সাড়ে ১১টায় চানখাঁরপুল এলাকায় পৌঁছালে দেখি হাজার হাজার লোক চারদিক থেকে জড়ো হচ্ছিল। তখন চানখাঁরপুল মোড়ের উল্টো পাশে অনেক পুলিশ ও ছাপা পোশাকধারী পুলিশ ছিল। ওই সময় পুলিশের পোশাক পরিহিত লোকদের হিন্দি ভাষায় কথা বলতে শুনি। এমনকি তারা আমাদের বাধা দিচ্ছিল। একই সঙ্গে আমাদের লক্ষ্য করে ফাঁকা গুলি ছোড়ে।’

শহীদ আহম্মেদ বলেন, ‘ইয়াকুবকে কারা গুলি করেছে তা পরে জেনেছি। অর্থাৎ গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। ডিএমপির মো. ইমরুল, ইন্সপেক্টর আরশাদের উপস্থিতিতে কনস্টেবল সুজন, নাসিরুল ও ইমাজ গুলি করেছিলেন। আরও অনেকেই ছিলেন। আমি আসামিদের বিচার চাই।’

পরে আসামিদের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন।

গত ১৪ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আট আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন। এবং সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেন। তারই ধারাবাহিকতায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের পর গত ১১ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

সূত্র: জাগো নিউজ
এনএন/ ১৩ আগস্ট ২০২৫



আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর: