ঢাকা, ১৩ আগস্ট – গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয়জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় পঞ্চম সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেওয়ার সময় শহীদ ইয়াকুবের চাচা শহীদ আহম্মেদ বলেন, ‘চানখাঁরপুল মোড়ে উল্টো পাশে অনেক পুলিশের সঙ্গে ছাপা পোশাকধারী পুলিশও ছিল। তখন পুলিশের পোশাকে থাকা লোকদের হিন্দি ভাষায় কথা বলতে শুনেছি। এমনকি তারা আমাদের বাধা দিচ্ছিল। একই সঙ্গে আমাদের লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়ে। তখন এক পুলিশ বলছিলেন ‘ইধার আও’।
এরপর মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২০ আগস্ট দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (১৩ আগস্ট) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী এই দিন ঠিক করেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মহিতুল হক এনাম চৌধুরী। আদালতে আজ সাক্ষ্য গ্রহণে সহযোগিতা করেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম। আর আসামিপক্ষে জেরা করেন ব্যারিস্টার সাদ্দাম হোসেন অভি।
জবানবন্দিতে ইয়াকুবের চাচা শহীদ আহম্মেদ বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমি, আমার ভাতিজা ইয়াকুব, আমার ছেলে সালমান, এলাকার রাসেল, সুমন, সোহেলসহ আরও অনেকে গণভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। সাড়ে ১১টায় চানখাঁরপুল এলাকায় পৌঁছালে দেখি হাজার হাজার লোক চারদিক থেকে জড়ো হচ্ছিল। তখন চানখাঁরপুল মোড়ের উল্টো পাশে অনেক পুলিশ ও ছাপা পোশাকধারী পুলিশ ছিল। ওই সময় পুলিশের পোশাক পরিহিত লোকদের হিন্দি ভাষায় কথা বলতে শুনি। এমনকি তারা আমাদের বাধা দিচ্ছিল। একই সঙ্গে আমাদের লক্ষ্য করে ফাঁকা গুলি ছোড়ে।’
শহীদ আহম্মেদ বলেন, ‘ইয়াকুবকে কারা গুলি করেছে তা পরে জেনেছি। অর্থাৎ গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। ডিএমপির মো. ইমরুল, ইন্সপেক্টর আরশাদের উপস্থিতিতে কনস্টেবল সুজন, নাসিরুল ও ইমাজ গুলি করেছিলেন। আরও অনেকেই ছিলেন। আমি আসামিদের বিচার চাই।’
পরে আসামিদের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন।
গত ১৪ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আট আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন। এবং সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেন। তারই ধারাবাহিকতায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের পর গত ১১ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
সূত্র: জাগো নিউজ
এনএন/ ১৩ আগস্ট ২০২৫